মুষ্টিবদ্ধ তার হাতের নিশানা বিদ্রোহে জড় গগন কাঁপিয়ে।
দৃষ্টির কারুকাজে চিলের নজর জলজে কেন ভয় পায় মানুষ সহজে?
এতো বিশাল এতো উঁচু আকাশ এতো মায়ায় ভরা বাতাসও লাজে।
কাঁপতে কাঁপতে মানুষটি এলো চুপসে জড়সরো হয়ে দিকবিদিক হারিয়ে।
হঠাৎ জড়িয়ে ধরে সজল আর্তনাদে বিলাপে মুখর হয়ে
কান্নায় অস্থির মনের দেহ লুটিয়ে পড়ে।
ভিজে গেছে তার অস্ফুট আকুতি কোন এক অপ্রকাশ্যে তাও
বুঝে নেয়া সময়ের দহনে।
মনের ঘরের বাতিজ্বলা সেই আলো নিভে গেছে এক মুহূর্তের ঝড়ে।
টপটপ করে ঝরছে অশ্রু অনাবিলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিশ্রান্ত গ্রহনে।
খুবলে খেয়েছে মাটির দেহ; আয়নায় যায়নি চেনা এলোমেলো সব!
মাঝরাতের নিভৃত নীরবতা তার পৃথিবী জুড়ে।
দাঁত কেলিয়ে বুনো উল্লাস প্রমত্ত অজানা কারণে মন খুন।
কে সে অমানুষ; কোন সে জিঘাংসা এখনো নিমগ্ন অদ্ভুতে অপ্রিয় প্রহরে?