মারাত্মক জিঘাংসায় মনে জন্ম নেয়া পাপের ফসল খুন রক্তারক্তি জখম।
অনলের তাপ শোষণ করে আর্দ্র দেহ-
আর ফুঁ দিলে লেলিহান শিখায় জ্বলে তার প্রাণের পরত।
দিনে দুপুরে তাজা খুনের রক্ত নিয়ে হোলি খেলে একই বসতের আজন্ম পাপীরা।
পানের বরজের কেন এতো যত্ন এতো আত্তি?
একটু হেরফেরে পুরোটা শেষ হয়ে যায় পচে।
যৌগিক সমীকরণের হিসেবে একটু ভুলের খেসারত দিতে হয়-
অভাবনীয়ভাবে মারাত্মক।
ভুল করা যাবে না; অন্তরে দ্বন্দ্ব রাখা যাবে না-
কখনো যদি জয়ী হতে চাও তুমি নিজে-
তবে দ্বন্দ্ব থেকে সাবধান।
তোমার শত্রু হতে পারে তোমার এক পাতে খাওয়া নিজের মানুষ।
কখনো ভুলে যেওনা আসলে তুমি একা এসেছ এই পৃথিবীতে,
যেতেও হবে একা পরপারে।
জিঘাংসা খুবই মারাত্মক নীল আভার আগুনের চেয়েও ভয়ংকর।
জিঘাংসার অনলে কখনো নিজেকে- পুড়িও না মানুষকে পৃথিবীর,
তা সে কেউ হোক আর তুমি মনে রেখে চলো তোমার একদিন মৃত্যু হবে-
তা সে যেকোনো সময়।
মনের মাঝে কুটিলতা রেখে কেউ কখনো জেতেনি।
পৃথিবীর ইতিহাসে লেখা মানুষের মাঝে তুমিও একজন অতি বিশাল হতে পারো।
যদি তোমার মনের মাঝে সাহস থাকে আর থাকে সততা।
নিরীক্ষায় তুমি উত্তীর্ণ হয়ে যেতে পারবে এক নিমেষেই যদি অন্তর-আত্মা এক থাকে।
মানুষটার লাশের সাদা কাফনে রক্তের দাগের নাম কি ছিল তবে জিঘাংসা?
সরল পথে তুমি, আসলে তুমি একা কখনোই নও।
তোমার চারপাশে বন্ধুর অভাব হবে না কখনো-
যদি তুমি মনেপ্রাণে তাঁদের ভালোবাসো।
কিন্তু অতিরিক্ত আবেগের প্রশ্রয়ে কখনো পড়িও না।
এমনও হতে পারে তোমার সাথে যে চলে সব সময়,
সে তোমার ঘাতক হয়ে গেছে নীরবে।
নীরব ঘাতক খুবই মারাত্মক।
বুদ্ধিমান শত্রু তাও ভালো মূর্খের চেয়ে।
যে শত্রু তোমাকে চমকে দিয়ে দেখিয়ে দেবে-
সোজা পথের ডানে বামে কি রোপিত আছে।
মাটির একটু গভীরে থাকে মাইন পোঁতা।
কিন্তু তোমাকে চলতে হবে খুবই সতর্কভাবে।
তোমার উদ্দেশে বলা কিছু কথা তোমার ভালর জন্যই বলা-
কিন্তু যদি একটু ভুল করে বস তাহলে আর যে রক্ষে নেই।
তোমার বলা প্রতিটি কথা সুদূর পাহাড়ে কেন প্রতিরূপে ফিরে আসে তোমার কাছে?
তুমি যাই কর না কেন তা যদি সত্যিকারের মানবিক হয় তাহলেই তুমি অমর-
অসাধারণ, অমায়িক আর পৃথিবীর এক নজরকাড়া সজীব দুর্লভ পাতা।
নৌকার পেছনের বৈঠা যদি ঠিক না থাকে তাহলে নৌকার অবস্থা কি হবে তা যে-
সময় বলে দেয়।
এখন আমরা সঠিক পথে আছি- নৌকার পেছনের বৈঠাও একেবারে সতর্ক-সজাগ ঘোর অন্ধকারেও।
এটা কি করে সম্ভব হতে পারে তা যে মহীয়সী নিজে জানে।
জানে আর সবাই যারা অন্তরের সহযোগী।
উথাল পাথাল সমুদ্রের ঢেউ উপেক্ষা করে এগিয়ে চলার নাম সাহস সঞ্চয়ীনি।
বুকের সমস্ত দম নিয়ে চলার নাম সাহস।
কেউ পিছিয়ে থাকে না যদি হৃদয়ের ছেদেও থাকে গভীর শক্তিশালী বাতাস।
মায়ের নাম জপে নদীর বক্ষে সাতারের তুফান তুলেছিল বিদ্যাসাগর-
মায়ের মুখ একটু দেখার জন্য।
মহীয়সীর কোন ভয় নেই তাঁর সামনে পেছনে আছে বর্ম ঢাল।
হোক না বেহুঁশের মতো প্রলয়ঙ্করী ভয়ানক-
মুখের যতো পারা বলে দেয়া সময় করোনা বেতাল।