কেন এতো আবেগে ভরা চোখে-
সুনিপুণ আকর্ষণে আকাশ খুঁজে অস্থির তুমি?
জানি, আকাশের সাদা-কালো কিংবা নীল মেঘের মনে মিশে থাকতে চাও,
তুমি যে কাগজের রংমাখা তুলি।
রংধনুর সাত রং মিশে যেতে চায় তোমার রচিত অক্ষরে বোনা-
পথের বাঁকে বাঁকে জুরে থেকে চেয়ে অবাক চিকচিকে এলোমেলো ধূলি।
ঘন কালো সেদিনের সেই বেণী করা লম্বা চুল-
মুখের অমলিন হাসির কাব্য ঝড়ো মাতাল বাতাসে-
পাড় খুঁজে খুঁজে কাকে যেন ছুঁয়েছিল।
দিয়েছিলো বুকে বাতাস উল্লাসে নবশিশুর-
মায়ের মুখে শুনে শুনে বলা প্রথম শব্দ-কলি।
আজকের এই আকাশ সুফলা ব্যাপ্তি শেষে-
গহীন সুজলা অরণ্যে ঢেকে থাকা সবুজের মিলনে-
আরাধ্য স্পর্শে রাত্রিপারের উজালা সূর্য প্রাণে গেঁথেছে।
সময়ে বুকের নিখাদ ভালোবাসা নিংড়ে দিয়ে উদার স্তম্ভ-
আর অসময়ে পথ না হারানো অভিযাত্রী বেশে-
নেত্রে বলীয়ান অবিনাশী রণনে মাতৃকার উঠোনে নিজেকে সঁপেছে।
বাস্তব সত্যি নোনাতেও বাস্তব,
কেউ মিথ্যেকে উড়ায় সত্যি রুপে।
আর সত্যিতে মিথ্যে কে মেখেছে চাঁদের সাদাতে কালচে কলঙ্ক-
নির্ভারে এঁকে গোপন লেপেছে?
নমনীয় চোখের মণিতে কিছু অশ্রুজল ভীরে ঝরে পড়ে-
যখন কেউ করুণ অভিনয়ে মত্ত মুখোশধারী।
আর কিছু অশ্রুফোঁটা এতোই ভারী; গভীর ক্ষত বুকে পুষেও-
নিরাকার সময় কিছু মানুষ কীভাবে দেয় পাড়ি?
হতে পারে সে নর কিংবা নারী।