দূর বহুদূর পথের ঠিকানায় জোড়া বাঁধনে-
অস্তমিত দিনের ইশারায় রাত আসে।
সূর্যডোবা ধূসর আঁধারে ঘেরা সন্ধ্যের দেহে ভর করে আলোর প্রতীক্ষা।
চাঁদ ভাসে; কখনো ভাসে না-
অমাবস্যার তোপে পথচলা তাও কেন থেমে নেই?
আঁধারের গল্পে আলো জ্বেলে তাও মানুষ হাসে; কাঁদে-
কখনো বা বিলাপে না হয় থাকে অস্ফুট।
আনন্দের মোচড়ে উদ্ভূত হাসি-
প্রাণে আশা জাগিয়ে রাখে নতুন তোড়।
তারপর আসে উজালা আলোতে তপস্যার ভোর।
প্রতিটি নতুন সূর্যকে দেখে মানুষ আঁধার ভুলে চলে কর্মযজ্ঞে।
মানুষের মনে কতো দুঃখ থাকে; থাকে নিরাশার পাহাড়-
হতাশার পর্বততুল্য অপ্রতুলতা।
তাও সময়ের পাড়ে ভীরে সহস্রের ভিড়ে মিশে-
মানুষ ভুলে ব্যাথার নিমিশা।
দুঃখ; ব্যাথা; যন্ত্রণা; কষ্ট; হতাশা আর বেদনা-
প্রতিটি যে আলাদা আঁখরে ধরণে মাত্রায় ভিন্ন।
সময়ের বুকে কোন মায়া নেই; সময় কাউকে দেখে না-
করে মুহূর্তের জট ছিন্ন।
সময় শুষে নেয় সবকিছু-
যেভাবে সমুদ্রের ঢেউ শুষে নেয় এপারের সৈকত-
যেভাবে বাতাস থেকে ধীরে উপহারে-
কুয়াশা টেনে নেয় আকাঙ্ক্ষিত তৃষিত ক্ষণিকের জীবন।
মুখের কথায় আঘাত মনের নীড় ঠুকে-
ত্রস্ত করে মুখশ্রী কখনো মিথ্যের উজাড়ে ঠাঁসা কাল্পনিক বুনন।
এমন কিছু ভাবতে নেই অবান্তর অপভারে-
যার বর্ণে শুধু তুমিই একা।
রংধনুর রং আকাশে দেখে সবার চোখ কতো সুখে হাসে,
যখন মিলিয়ে যায় তখন খুঁজে পেতে চায় আবার সে মন-
আহা যদি সে আবার আসে।
স্বপ্নের সাথে দুঃস্বপ্ন যদি একি হ্রদে মিশে অশ্রু মানে চোখে।
কি আর থাকে করার মন মেনে নেয় তাও।
দিশারী প্রহরের সাথে উন্মুখে আশ্বস্ত নবীন রক্ত পাশে।