নিঃস্তব্দ শিতের রাতে
              পূরব ব্যানার্জী


নিঃস্তব্দ, নিশ্চুপ শিশির ভেজা রাতে,
নিঃসঙ্গ চাঁদের সাথে,
নিরবে কত কথা গেছি বলে, আপন মনে!
শীতের শুস্কতায় ঝরে পড়া শুকনো পাতার,
মরমর ধ্বনি, বার্ধ্যকের ছোঁয়া দিয়ে -
অসহায় চোখে, ঘোলাটে চশমার পাড়ে,
যৌবনের মুছে যাওয়া স্মৃতি গুলো টেনে অানে, অপ্রাপ্তির যন্ত্রনাকে দেয় আলো।
সিগারেটের লম্বা টানের কুণ্ডলিত ধোঁয়ায়,
মুছে দেবার অাপ্রান প্রয়াস-
যেন উদাসী মনের সুপ্ত খিদেকে প্রশম করার
এক অলিক প্রচেষ্টা, নিজেকেই নিজের মাঝে,
করে তোলে অপরাধি।
ডানা ঝাপটা দিয়ে, রাতের ঘুমন্ত পাখি -
জানান দেয় রাত্রের গভীরতা!
অজান্তেই বিকৃত মুখে এক করুন হাঁসি,
সজল চোখের ঘোলাটে দৃস্টি, রাত শেষ হওয়ার আগেই,
কুয়াশায় ভরে দেয়, বাইরের পৃথিবীটা কে।
অপত্যের চোখে দেখি অাগামীর স্বপ্ন,
মুছে যাওয়া ব্যার্থ অতিত কে ফের,
নতুন আশায় এক নতুন রুপে সাজিয়ে তোলার মরিয়া ইচ্ছা,
বসন্তের আগমনি গানের সূরে,
রাত কে করে তোলে আরো মায়াবী।
দূরে ঝিঁঝিঁ পোকার লাগামহীন কর্কশ ডাক,
একাকিত্ব কে যেন করে পরিহাস।
ক্লান্ত, অবসন্ন দেহে ফিরে যায় শয্যায়,
প্রভাতের উজ্জল রবির আলোকের অপেক্ষায়।।