বর্ষা রানি
               পূরব ব্যানার্জী
একি রুপ তব হেরিলাম ওগো মায়াবীনি প্রকৃতি রানি,
কভু রুদ্র, উগ্রচন্ডা ভয়ংকরী, প্রান সংশয় কারি-
প্রানের তাগিদে হাহাকার চতুর্দিকে,
রুক্ষ, নিরস, মহাকাল রুপে,
শষ্যশ্যামলা ধরনীরে করেছো শুষ্ক মরুভুমি !
দিকে দিকে দূর্বল আস্থা, বিশ্বাসে অধৈর্য্য জীবকূল,
কোনোক্রমে ধরে প্রান,নাজেহাল, বিহ্বল হতাশে।
হেনকালে গগনে গগনে,হয়ে মেঘরাশি,
মেলে তব কুঞ্চিত কেশরাশি -
প্রানেরও আশা জাগায়ে, করো গর্জন, বরষন লাগি,
নিথর তরুদল, হরষিত চিত্তে, দোলে আজ অকারণ -
দেখে তব মাতৃস্বরুপিনী রুপের মাধুরি,
কে তুমি ওগো দরদীনি যাদুকরী।।
গাহে আজ প্রান, বিনোদনে,কোকিলের ওই কুহুতানে,
বলাকার দল যায় উড়ে জলদের সাথে সাথে,
ফুলে ফুলে ভ্রমরের নাচ, মৌবনে কলরব ফের ;
তব উদার দানে দেখো নব প্রান দেয় আজ উঁকি।।
যে তুমি বিনাশের রুপে দিয়ে ত্রাস -
বিমর্ষ ধুকধুক প্রানে, নিয়েছিলে রৃপ ভয়ংকরী,
আজ সেই তুমি প্রান সঞ্চারিকা রুপে জাগাও,
প্রানের স্পন্দন তারই মাঝে,
হয়ে সংকটনাশিনী, ওগো দরদিনী।।
বিধাতার সৃষ্টিকে রেখেছো করে জীবন্ত -
করে নিস্প্রান নদে স্রোতস্বিনী, কুঞ্জে কুঞ্জে ছড়ায়ে ,
নব জীবনের জয়গান,
আপন লীলায় খেলিছো নিরন্তর বহুরুপে,
ধরিত্রীর বুকে রেখেছো জাগায়ে প্রান।
তুমি সৃষ্টিশীলা, আপন সৃষ্টির দ্বারা করেছো বিধাতারে ঋনী।।