জন্মদায়িনী মা
        পূরব ব্যানার্জী


জাতিস্মর নহে আমি, তবু আজ -
শৈশবের অস্পষ্ট স্মৃতি হতে পৌঢ়ের দোরগোড়ায় এসে,
দীর্ঘ জীবনের নানা সুখদুখের সন্ধিক্ষণে ;
যে নামের যাদুবলে, যে মুখের হাঁসি দেখে,
প্রতিক্ষনে পেয়েছি আত্মবল, তুমি সেই -
দেবতার দেবতা, মোর জীবনের প্রথম আশীর্বাদ।
তব ঋন শোধীবার দুঃসাহস নাই কারো এ ভুবনে,
তুমি যে মোর মাতা, জন্মদায়িনী।।
পদে পদে তব উৎকন্ঠা,
কঠোর শাষনের আড়ালে ওই সোহাগ -
স্বর্গ সুখ কি নাহি জানি তবু মনে হয়,
নয় তা সেই মমতার চেয়ে সুখকর।
সমাজের কদর্যতায় যখনি জীবনের পথে,
কালো মেঘে নেমেছে রজনি  -
তব নাম ধরে, দুচোখে অশ্রু লয়ে হাহাকারে,
নিমেষে পেয়েছি শান্তিছবি তোমারে কল্পি আমি।।
অভিমান বা দহন জ্বালায় তোমার আঁচল খানি,
বড় সুখ মাগো সে ছায়ায় পাই,
সে ছায়ার এই বিশ্বপিতাও ঋনি।।
শয়নে স্বপনে আর জাগরনে, বিপদেআপদে সদা -
তোমারই নামে ভরসা যে পাই, তুমি যে অন্তর্যামি।।
অজ্ঞাতে, অজান্তে যদি মাগো ভুলে,
তব হৃদয়ে আঘাত হানি -
যদি মা তোমার অশ্রু ঝরার কারন হয়গো আমি,
ধিক্ মোরে তবে, ধিক্ এ জনম,
না পারিবো ক্ষমিতে নিজেরে, এ জীবনে কভু আমি।।