গ্রামবাংলার বর্ষার রুপ
                   পূরব ব্যানার্জী
হৈ হুল্লোর ব্জ্রঘোষনা সারাটা রাত্রি ধরে -
দুস্টু দামাল শিশু যেন কোনো উৎপাত গেছে করে।।
রাশি রাশি তুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আকাশের বুক জুড়ে।
একি অপরুপ শোভা হেরিলাম গ্রামবাংলায় এসে ফিরে।।
লণ্ডভণ্ড করেছে সাজানো ধরনির সংসারে,
তরুদল যেন ভয়ে শিহরীত সারি সারি পথ ধারে।।
দূর্বল আর কিশোর যতেক তারি মাঝে ছিল রয়ে,
অকাল লড়াইএ ভয়ে হার মেনে এখনো রয়েছে নুয়ে।।
আম্রবনের আমন্ত্রণে দলে দলে শিশুদল -
অকালে যে হায় ঝরেছে তাহার অপরিনত ফসল।।
উড়ায়ে ধুলো জঞ্জাল যত পথ ঘাট করে সাফ,
ভোরের হাওয়াও যেন ক্লান্ত সলিলে লুকায়ে ছাড়িছে হাঁফ।।
ব্যস্ত কৃষক আলুথালু বেশে ছুটিছে উর্দ্ধশ্বাসে -
সরস মাটি দিয়েছে যে ডাক দামালের আশ্বাসে।।
দিকে দিকে ওই জীবনের গান প্রানোউৎসবে মেতে,
দূরন্ত শিশু সুর দিয়ে গেছে বর্ষার আগমনি গীতে।।
ফুলে ফুলে যেন ভ্রমরের দল সোহাগের চুম্বনে -
শাখে শাখে ওই আকুলতা ঝরে নবযৌবনের আলিঙ্গনে।।
আহা কি মনোরম বাংলা মায়ের বর্ষা রুপের শোভা।
কোথা আছে এমন নির্মল বায়ু, মধুর প্রভাত রবির আভা।।
শস্যশ্যামলা রুপের টানে আজ দিকে দিকে  হৈ চৈ -
আয় দেখবি কে আয় বঙ্গভুমির গ্রামবাংলার পরিচয়।।
ফুলে আর ফলে ভরা সংসার, সরল নিরীহ নিষ্পাপ মন।
গ্রামগঞ্জেই বাংলার রুপ, এমন সতেজতা ভরা প্রান।।