বায়ুমগ্ন বিহঙ্গ নীল আকাশে ছন্দ
            রক্ত মানে রঞ্জিত রঙ, ভাষাহীন কত শব্দ
মাটির শয়নে পিপীলিকা কিছু,বিষাক্ত দাগ সত্য
              লাল হয়ে যায় কামড়ের দাগ,প্রকৃতি অভ্যস্ত


হঠাত বাতাস উষ্ণ রোদে বাতাসের সাথে ক্রিয়া
                 বন্ধনহীন মুক্ত প্রাণ ভাষাহীন বিক্রিয়া!
বাতাসের মতো জেগে ওঠা কুড়ি রাত্রি নিঃস্তব্ধ
        মিশে যাওয়া মন, আত্মা কিছু ,পাপে পাপে অতৃপ্ত।


চোখের কোলে দুলছে বাতাস, নড়ছে ঘাসের চুল
         না বেনজিন, না অ্যাামাইড,না রেখা বৃত্ত ভুল
ভুল নও তুমি, ভুল নই আমি, ভুল নয় প্রেমী সেই
     ভুল হয়ে যায় ,ভুল রয়ে যায়, হিসেব মেলে না সেই
খাতাগুলো দেখ, নব নব সুর ,কর তুমি নব পান
          নব নব রঙে কলুষিত প্রিয়, বোঝনি ভাষার টান


পিপড়েগুলো ভীষণ করে কলমের ধারেকাছে
     ঘর বাড়ি গাছ নদী নবস্রোতে ,জলোচ্ছ্বাসে ডুবে।
হঠাত স্রোতে শ্বেতশুভধারা বাঁধিতে কেন সে চায়?
       নিছক জীবন ,মিথ্যো বাসনা, প্রাণহীন আত্মায়।
উপমার কথা উপমা জানে না,ভালোবাসা কি সেই রঙ?
        পায়েতে জাগে স্পর্শ যত, বিষাক্ত গ্যাস সব।


সাহারা মরু ,রেলওয়ে ঝম , ঝমঝমঝমঝ
তানপোড়া কালো, ঝলসানো রুটি ,শুধু রক্তাক্ত জল
রবীন্দ্র সেই ,মধুসূদন,কুমুদিনী,সুবোধ
      কি লাভে বন্ধনে জোর ,শেষ কেন নেই জোর??


জোর করে ঘর বাঁধা পাখি, ছেড়ে যায় সংসার
জোর করে বেঁধে রাখা মন, ভেঙে করে তোলপাড়!


আবেগ জাননা আবেগ বোঝনা, তবুও বোঝ সই
         কবিরা ভাব, ভাবরা কবি, তাইতো তাইতো তই ।


বেঁধো না প্রিয় অতৃপ্ত
মুক্ত পাখি আকাশে দেখে হয়ে যেও শুধু তৃপ্ত!!!......