সময় আর হারানোর স্রোতে
ঢেউ ভাঙা তীরে ,
বিশ্বাসের নামে বেনামে
সুখ দুঃখ নিয়ে ,
পাখিদের ওপারে !


ভয় পেয়ে যাই ছুট্টে চলে
অনেক দূরে, অনেক দূরে
সব ছেড়ে যাই কোনখানেতে,
ভালোবাসা ঢুকবে নারে !


ভাঙা মনে ভয় ঢুকেছে ,
মানুষ দেখে ভয় এসেছে ,
এমন সীমার প্রাচীর দিলুম
কিচ্ছু শোনা যায় না তাতে ।


যে জন আমায় ভালোবাসে
দূর রেখেছি বেদনাতে ,
কেঁদেছে যে আমায় ভেবে
পালিয়ে গেছি মানুষ দেখে ।


বিশ্বাসের একটা সুতোই
একজীবনে থাকে ,
শৈশব আর কৈশোর জ্বালা
জীবন খেল ছিড়ে !


ক্ষমা করো যে জন আমায়
খুব চেয়েছ মনে ,
জীবন আমার নষ্ট পুকুর
শুরুর শৈশবে !


সংসার আর সম্বন্ধে
আজন্ম কালো ভয় ,
খুব মরেছি বারে বারে
আর কখনো নয় ।


ভেতর ঘরের বাচ্চাটাকে
বাঁচাতে যদি চাও ,
এই পৃথিবী নষ্ট বড়
দূরেই সরে যাও    ............................।।


প্রতিটা শিশু যখন জন্ম দেয় সে তার একটামাত্র জীবনের জন্য একটা মাত্র বিশ্বাসের সুতো নিয়ে জন্মায়।কোনোভাবে যদি জীবন ,সংসা্‌র,আবেগ আর ভালোবাসার প্রতি সেই বিশ্বাসের সুতোয় আঁচড় লেগে যায় সেই শিশুর জীবন আর কখনোই দ্বিতীয়বার ঠিক হয় না।সময়ের সাথে সাথে আচড় লেগে আলগা হয়ে যাওয়া সুতোতে আরো বেশি আঘাত লাগে,আচড় লাগে। অল্প সময়েই সেই সুতো  দুমড়ে মুচড়ে ছিড়ে যায় । টুকরো টুকরো হয়ে গুড়ো হয়ে যাওয়া আয়নার মতো সেই সুতো কখনো জোড়া লাগে না। একটা সময় মানুষ বন্ধন ছিড়ে বেড়িয়ে যায়। সারাজীবনের স্বাভাবিক জীবন হারায়। এই ভেঙে যাওয়াটা সবাই ভাঙে ।কেউ আগে কেউবা পরে। আমার মনে হয় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পাপই হলো বিশ্বাস ভেঙে দেওয়া । একটা জীবনকে ভেঙে দেওয়া।একটা সুতোকে ভেঙে দেওয়া যেটা আর কখনো জোড়া লাগানো সম্ভব নয় ।কারণ মানুষ একটা সুতো নিয়েই জন্মায়। পৃথিবী স্বর্গ নয় তাই হয়তো এমন হয়। আমরা আমাদের জীবন ,পরিবেশ আর সমাজকে ভুল আর পাপ দিয়ে জাহান্নাম বানিয়েছি।তাই আমাদের বিশ্বাসের সুতোগুলো জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে যায়। পৃথিবীকে যদি এখনও আমরা স্বররগ না বানাই।নিষ্ঠুরতারর পরিবর্তে ভালোবাসা দিয়ে ভরিয়ে না দেই ।আমাদের আগামী প্রজন্ম ,নতুন নতুন আসা জীবনগুলোর বিশ্বাসের সুতোগুলোও আমাদের মতো ধ্বংস হয়ে যাবে। শশ্মানে ঘুড়ে বেড়াবে হাসিমুখের অভিনয় করা কতগুলো লাশ। লাশগুলো সুখী হবে একা হয়ে ,একাকার হয়ে নয়,মিলেমিশে নয়। পৃথিবী সুন্দর হোক, প্রতিটি কোমল হৃদয় বাঁচুক নিষ্ঠুর পৃথিবীতে।