চল্লিশ রুপি মমো
টুম টুমাটুম টুমো
গুমুর গুমুর গুম
খাই ধুমাধুম ধুম


পাশের রোডের ছেলেটা
বোকা ভেলভেলেটা
বাকুম বাকুম বুম
দিলেম জোরে দুম


সন্ধ্যেবেলার বিকালে
গরম গরম আহ লাগে
এই পিপাসে পানিতে
নরম নরম এসিতে
পেপসি আর ঘুমাতে


পড়ল গরম আহা মরণ
পাখার বাতাস কই
মাথার উপর রোদ চড়েছে
ফুটছে সাধের দই


দই খাব না ,দই খাব না
মমো আমি খাই
মমো আমায় এনে দিও
রোজ বিকেলে ভাই


চুপটি বিকেল একা একা
হেঁটে এলুম তাই
ভীষণ বাতাস জাপটে ধরে
বৃষ্টি হবে তাই


চারমিশালি সস দিয়েছে
চেটে চেটে খাই
ঝালের চোটে ফিনিক ফুনিক
হাসছি খালি হায়


হাসির চোটে পাশের সবাই
কুল না হেসে পায়
জোকার কবি খাদক কবি
গল্প লিখে যাই



আমার বিকেলঃ


৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রার বিকেলে হাঁটতে বেরুলাম।বইছিল বাতাস।মমো কিনে রুমে ফিরলাম। দোকানদার কেন জানি আমাকে একটা সসের প্যাকেটের জায়গায় নয়টা সসের প্যাকেট দিয়ে দিল ভুল করে। যাইহোক ঝালপ্রিয় আমি খুব আয়েশ করে রুমে বসে মমো খাচ্ছি। মানে যখন আমি মমো খাই আমার মনে হয় আমি আইস্ক্রিম খাই মানে মানুষ আইসক্রিম যেমন শখ করে চেটে চেটে খাই ঠিক সেভাবে আমি মমো খাই।মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল।বান্ধবী চলে এল।তাই একপিস দিতে হলো।পছন্দের খাবারগুলোর ভাগ সচরাচর আমি কাউকেই দিতে ভালোবাসি না।আম্মুকেও না ।বাকিগুলো আমি আয়েশ করে খাচ্ছিলাম।অতিরিক্ত ঝালের চোটে কান্না করার বদলে আমি হাহুর সাথে সাথে হাসতে লাগলাম। কোথায় যেন ঠিক কবে কোনকালে পড়েছিলাম হাসি সংক্রামক রোগ। তাই আমার হাসির ভাইরাস বাকি সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ায় শুভ সন্ধ্যায় লাফিং মিটিং করে ফেললাম সবাই। ঝালহাসির বড় গুণ । খরচা করে ব্লাস পাউডার কিনতে হয় না। নিজে নিজেই লাল হয়ে যায়। হাহাহাহা.....................।