তিমুল পাজি, তিমুল পাজি
           মদ ,গাঁজা আর মেয়ের বাড়ি
সব হারানো ঠুনকো পথিক
                       পাগলপাড়া সঠিক বেঠিক।


আকাশ ছোঁয়া সম্ভাবনা
                       মন ভেঙে সব জড়ায় পড়া,
শিষ্টভাবে শিষ্ট হবে
              অনিষ্টসব ছাড়ল কবে?


খারাপ ছেলে ,খারাপ ছেলে
                    নেই যে মাথার ঠিক,
মেয়ে পেলে হাতের পাশে
                   লোভগুলো চিকচিক!


ঘেন্না বড় উঠছে ডেকে
           শিমুল ফুলের উপর,
কান্না আসে ,ডুকরে হাসে
                  শুদ্ধ মনে ফাঁপর।


শিমুল খারাপ ,শিমুল খারাপ
খুব দিয়েছে বকা,
এক বকাতে মন কেঁদেছে,
লাগছে একা একা।


ভদ্র ছেলে খারাপ বড়
মিথ্যে কথা বলে,
রাত বিরেতে ঘর পালিয়ে
হুঁকা ধরে টানে।


সকালবেলা কফিশপে, বিকেল বেলা ডেটিং
স্কুল  পালিয়ে  সরাইখানায়
রঙগুলো হয় মলিন!


মিথ্যেবাদী , মারামারি, খুব ছেলেটা পঁচা
ঘর পালিয়ে ,কাশ ফুলেতে ,একলা মনের কথা,
একলা একা এক বখাটে, কান্না করে খালি,
অন্ধকারের শিমুল রাজা,পথ হারানো রবি😟



সারমর্ম: অসম্ভব রাগ থেকে কবিতাটি লেখা।রাগগুলো কাগজ কলমের উপর দিয়ে যাচ্ছে। এদেশে প্রতিটি শিশুর শারীরিক, মানসিক আর আবেগীয় নিরাপত্তা যতদিন না রাষ্ট্র প্রত্যক্ষভাবে তদারকির আওতায় এনে নিজ হাতে না নিয়ন্ত্রণ করবে, প্রত্যেকটা বিশুদ্ধ হৃদয় থেকে দিনের পর দিন জন্ম নেবে একটি করে বখাটে।যারা তাদের জীবনের জন্য দায়ী নয়। পরিবার যদি ব্যক্তির সার্বিক বিকাশের একক হতো সমাজে তাহলে পরিবার নামে ব্যক্তির জীবনের ভিত্তির যে পরিবেশ তাতে ব্যক্তিসত্তার বিকাশ মুক্ত আনন্দের সাথে হতো ঠিক যেভাবে স্বাধীন আকাশে সদ্যোজাত পাখির ছানাটি উড়ে। রক্ষা পেত বখাটেদের সাথে থাকা মানুষগুলো,তাদের আগামী প্রজন্ম পেত সঠিক দিকনির্দেশনা। ছোট ছোট আঘাতের ফল মহামারীর মতো এক যুগ থেকে আরেক যুগে সংক্রমিত হতো না। আমাদের দেশ পাশ্চাত্য সভ্যতার চেয়ে তুলনামূলক রক্ষণশীল অবস্থানে আছে।আমরা আজও আমাদের সম্পর্কগুলোকে শ্রদ্ধা করি, মূল্য দিতে জানি। সমস্যা হচ্ছে আমাদের এই চিন্তার রুপান্তর অকৃত্রিম ভাবে বাস্তবতায় রূপ নিচ্ছে না। সিটিগোল্ডের গয়না পড়ে সোনার বাহাদুরি বাহাদুরি হলেও তাতে সাড় শব্দটার বড়ই অভাব। শারীরিক, মানসিক অত্যাচারকে রক্ষণশীলতা রক্ষার যে হাতিয়ার বানানো হয়েছে আর অত্যাচারিত হওয়াটা কে যখন রক্ষণশীল বলা হয়েছে তখন তার  ফল যে তেতো হবে তা তো মেনে নিতেই হবে। চিন্তা আবেগ আর ব্যক্তিত্বের   ,বিশুদ্ধতা আর সমস্ত পজেটিভ এনার্জির যথাযথ বিকাশ নিয়ে তাকে রক্ষা করে   যে নৈতিক সৎ জীবন ধারণ করে তাকে রক্ষণশীল বললে মন্দ হয় না। ব্যক্তিসত্তার মধ্যে শতভাগ ইতিবাচক শক্তির স্ফূরণ বজায় রাখার জন্য বিচার বিশ্লেষণ এর নিরিখে তৈরি করা শান্তিপূর্ণ উপায়গুলিকে এর নিয়ম বললেও মন্দ হয় না। অন্তরে প্রশ্ন রেখে অতৃপ্ত মন কি শান্তির ঠিকানা খুঁজে পায়? বোধ আর আত্মশক্তির উপর না দাঁড়ালে কি অস্তিত্ব কে চেনা যায়?


প্রতিটি ছোট ছোট হৃদয়ের উপর করা প্রতিটি ছোট ছোট আঘাত থেকে যে বড় বড় আঘাতগুলোর জন্য হচ্ছে তা কি মনের চোখ মেলে আমরা কখনো খেয়াল করেছি???


জাগতিক জৈবিক সত্তাকে সিংহাসনে বসিয়ে মহাজাগতিক শান্তি আর শিশুশুলোভ আনন্দ পাওয়ার চিন্তা কতটুকু যুক্তিপূর্ণ??


যখন ব্যক্তির প্রতিটি ছোট ছোট অভ্যাস আর চিন্তা ইমপিওরিটির দিকে যায় তখন সেখানে আমরা কিভাবে ভদ্র, শান্তিপূর্ণ পরিবার আর সমাজের কথা চিন্তা করি?? নড়বড়ে ভিত্তির বাড়ি কি ভেঙে পড়ে না??


যতক্ষণ না মস্তিষ্ক মন আর হৃদয়কে শরীরের চেয়ে বেশি মূল্য দিয়ে তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করা হবে দিনকে দিন মানসিক বিকার আর অসুস্থ ব্যক্তিত্ব থেকে আমরা কি কখনো রক্ষা পাব ?????