জাগো জাগো হে বন্দিনী যত , জাগো জাগো হে নন্দিনী যত
ওঠো রে ওঠো কংকালসার , ওঠো রে ওঠো গর্ভেরই কাল
ওঠো রে ওঠো নাবালিকা শিশু , দেবে আজ অভিযান
পরাণের মাঝে জীবনের মাঝে ক্ষতবিক্ষত প্রাণ।


হবি তুই বড় মায়েরই মতো , হারাবি যে অধিকার
জীবন শেষের সায়াহ্নে তা কেবলই অন্ধকার ।
খাবারের সাথে যারে তুলনা দিল রে মানব প্রাণ
রাণী হয়ে কাল দে তারে তুই বিষে ভরা যত গান ,
নন্দিনী নারী বন্দিনী নারী কোমলাংগী হায়
লৌহমানবী  হবি তুই বুঝি লৌহেরই আত্মায় ।
এলিজাবেথ না চাওলা না ডায়ানার কৃতকাজ
দেয়নি নারীরে লজ্জা যে কভু , দিয়েছে নতুন সাজ ,
দাসেরই মাথা দাসেরই কথা কেন আজো মুখে হায়
শাসনে নয় আসনে আজ পূজিব আমি তোমায় ।।


আজ জাগো জাগো হে নন্দিনী
আজ জাগো জাগো হে বন্দিনী
আজ জাগো জাগো হে রংগিনী
আমি আহ্বান করি উত্তর মেরু দক্ষিণ মেরু আজ
আমি আহ্বান করি নাবালিকা শিশু , জঠোরে শায়িত হাত
আমি আহ্বান করি কিশোরীর রক্তে রাঙ্গানো মুখ
আমি আহ্বান করি তরুণীর কষ্টাবিষ্ট বুক
আমি আহ্বান করি বৃদ্ধ মায়ের কেবলি আর্তনাদ
আমি আহ্বান করি নিদ্রিত ,শ্মশানের ইতিহাস ।।


আছ যেথা যত গৃহবধূ , উদ্ধত হও আজ
আপনার লাগি আপনারে তুমি আসমানে দাও সাজ ।
পেয়ালায় নয় গোয়ালায় নয় নয় গৃহকোণে আর
জগত শাসনে এই হাত দুটো হর্ষে করিবে কাজ ।
আকাশে নারী বাতাসে নারী ভূতলেও নারী হায়
কোন সাহসী ধ্বসাইবে তারে শৌর্য বীর্যটায় !
ভয় নেই শিশু নাবালিকারা রুদ্রিত হও হও
রুদ্ধিত যদি কেউ করে , পরিবার ত্যাগ তারে কও কও ।


হর্ষ করে বিষ পান করে বন্ধন কর মুক্ত
রক্তশাসনে যুদ্ধকালী আপনারে কর শক্ত
অভিশপ্ত! অভিশপ্ত!--------।।