জীবনকে উপভোগ করতে হলে দৌঁড়াও ;
দৃষ্টি রাখো স্থির এবং শুধুই সামনে ।
মাঝে মাঝে ডাইনে; বায়েও তাকাতে পারো ;
তবে ভুলেও পিছন ফিরে দেখোনা ।
চলার পথ চড়াই উতরায়ে ভরা ,
একবার পা পিছলে গেলে -
হাত ধরে টেনে তুলবেনা কেউ !
বরং সুযোগ পেলে মিরজাফরের দল ঠেসে ধরবে ।
যাতে তুমি তলিয়ে যাও অতল গভীরে !
যদি জীবনকে উপভোগ করতে চাও ; তবে -
তোমার অভিধানের পাতা থেকে
ভালোলাগা - ভালোবাসা শব্দ গুলিতে ,
কালো রঙের সেলুটেপ লাগিয়ে দাও ।
ওই শব্দ গুলি আগুনের চেয়ে শক্তিশালি !
আগুন তবু দাহ্য বস্তুকে ছাই করে ;
কিন্তু এরা জীবনের অস্তিত্ব একেবারে শেষ করে ছাড়ে ।
যদি আমার কথা বিশ্বাস না হয় ;
গড়ের মাঠে হনুমান দখলে -
তাকে দশ টাকার বাদাম কিনে দিয়ো ;
আর রামায়ণের গল্প শুনতে চেয়ো ।
দেখো সে বুক চিরে দেখিয়ে দেবে -
ভালোবাসা কী আর কোথায় থাকে ।
রাম- সীতার জন্য হনুমানের মুখ পুড়লেও ;
কীভাবে বুকের মাঝে আগলে আছে ,
তার ভালোবাসা তার আরাধনা ।
মাঠে যেতে যেতে গঙ্গাফড়িং দেখেছো নিশ্চয়!
তোমাদের কী মনে হয় তারা সব ফসল খায় ?
আমার সেটা মনে হয় না কখনো ।
আসলে তারা ফসলের রক্ত চুষে খায় !
তাইতো ফসল নষ্ট হয় গোড়া থেকে ,
পড়ে থাকে অস্তি চর্ম সার খড় ।
ওই সব হনুমান ওইসব গঙ্গাফড়িং দেখে -
পা আটকে রেখোনা মাটিতে ।
দৌঁড়াও কেবলই দৌঁড়াও ;
দৃষ্টি রাখো স্থির এবং শুধুই সামনে ।
রাতের সামান্য অন্ধকারের মতো -
ব্যর্থতাকে ভুলে আরো দ্রুত পা চালাও ।
হাজার বছর পথ হাঁটার পরেও ;
জীবনানন্দ দাশের বনলতা সেন; জানতে চায়-
এত দিন তিনি কোথায় ছিলেন ?
এরই নাম জীবন !
সেই জীবনকে উপভোগ করতে হলে -
দৌঁড়াও আর দৌঁড়াও আরো দৌঁড়াও ।