বস্ত্র হরণের পালা চলছে সর্বত্র
প্রকাশ্যে দিনের আলোতে
অথবা গভীর অন্ধকার রাতে
যখন তখন সর্বক্ষণ
ফুলিয়া শান্তিপুর ঢাকা
তাঁতকল মিলমালিকের মুখে লম্বা হাসি
সেই পৌরানিক যুগ থেকে আজ অবধি
দু:শাসনের লম্বা হাত অক্লান্ত
তথা কথিত বুদ্ধিজীবিগণ
মুখে কুলুপ এটে
বসে থাকে চিরকাল
পিতামহ ভীষ্ম দ্রোনাচার্যের
চোখে কালো চশমা
রজস্বলা রমনীর রক্তে
প্লাবিত ঘর সংসার
দীর্ঘ লসাগুর মতো
অজস্র মিলের শাড়ি
জমা হয় দিগন্তের রাস্তায়
অসংখ্য ভাজক, ভাজ্যকে ভাগ করে
অসীম ভাগফল
তবু অবশিষ্ট থেকে যায়
আদিবাসী রমনীর উরু উলঙ্গ
গাইতি আর বেলচার আঘাতে
পাড়ের ভাজে ভাজে
নির্বাক শাড়িতে
কালসিটের দাগ
পার্বতী দশভূজা সর্বশক্তিময়ী
দ্রৌপদীরা তবু বিবস্ত্র হয়
কোথায় কর্ণ, কোথায় পঞ্চস্বামী
তোমরা কি আজও নপুংসক !