আজ কাল আমি প্রতিনিয়ত
গভীর নিশুতি রাতে স্বপ্ন দেখি
নির্জন আঁধারে স্বপ্ন থেকে
নেমে আসে এক অন্য পৃথিবী
তাঁর চলার গতি যেন রেলগাড়ি
কখনো থামে আবার এঁকেবেঁকে চলে ।


মাঝে মাঝে স্বপ্নে- চোখের কোনে
নেমে আসে এক, অন্য পাহাড়
সেখানে নেই কোন পাথর
আছে সমুদ্রের মতো
বিশাল জলরাশির অশান্ত উন্মত্ত ঢেউ ।


কখনো কখনো স্বপ্ন থেকে
নেমে আসে অসীম গণিত
কখনো পাটি গণিত কখনো বীজ গণিত
কখনো আবার পরিমিতি
সরলরেখা বক্ররেখা বৃত্ত ত্রিভুজ চতুর্ভুজ
কখনো রম্বস কখনো ট্র্যাপিজিয়ম।
স্বপ্ন আবার অঙ্কের এসব বিষয় ছেড়ে
ত্রিকোণ মিতির নদী আকাশ
কখনো কখনো সূর্য শিখরে পৌঁছে যায় ।


কখনো কখনো নিশুতি রাতের -
স্বপ্ন গাড় অন্ধকার ধূসর
অসংখ্য মশা আর ঝেঝিপোকার গুঞ্জন
তাঁরা যেন নেচে নেচে বলে
এপৃথিবীটা কেবলই আমাদের
ওহে মনুষ্য জাতি
তোমরা আজ নিশ্চিতে ঘুমাও
আমরা আর জ্বালাতন করব না
তোমরা কি ভাবছ
আমরা কামড়ে দেব হুল ফুটাব ?
এখন আমরা রক্ত খাই না
আমারও তোমাদের মতো খাই ভাত
আসিদ্ধ না, রান্না করেই খাই ।


দুঃসাহসী প্রত্যাশা তাই স্বপ্ন দেখি
ঝোপঝাড় আড়াল করা এক চিলতে হাসি
প্রতি রাতের অনিদ্রিত কুকুরটি
সমাজের ময়লা আবর্জনা ভেবে
কামড়ে কামড়ে খাচ্ছে
আর রাগে ভয়ে ঘেউ ঘেউ করছে ।


মনে মনে স্বপ্নে ভাবি
প্রিয়, তোমার মুখের ভাষ্কর্য
আঁকব প্রতি লোমকূপে
চোখের জলে ভেজা তুলি
বুলিয়ে দেব সারা গায়ে।


হঠাৎ বুকের অসমান পাজড়ে
হাতুড়ির করাঘাত মেঘেদের আর্তনাদ
বৃষ্টি তোমাকে আর বহিতে পারবোনা
ঝোপঝাড় আড়াল করা এক চিলতে রোদ
আমার কবিতার বুকে আশ্রয় ভিক্ষা চায়
দুস্তর মনের সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে
অনেক সূর্য অস্ত গেল, তবু -
আমার দেহগহ্বরে যে , আগ্নেয়গিরীর লাভা
সঞ্চিত আছে, তার হাড় মজ্জায়
বিস্ফোরণ হয়েছে অবিরত
অস্থির কম্পনে -
চামড়ার আস্তরণ ফেটে চৌচির ।
___