এক প্রহর শেষ হতেই
ধনুকে তোলে তীর,
কর্ণের দৃষ্টি কাড়ে
খেতে বলে ক্ষীর।


কর্ণ বলে তোমায়
ভালো করেই চিনি,
এভাবে মারলে কিন্তু
হবে না ধনী।
চাকাটা তুলতে দাও
তারপর দেখি,
কার হাতে কে পড়ায়
সম্পর্কের রাখিঁ।


বধিব, অর্জুন আমি
কঠিন এক বাণে,
পুত্র মারার সময়
ছিল না মনে,
কত সময় দিয়েছিলে-
প্রহর গুণে গুণে।


(কর্ণ বচনঃ
পুত্র শুধু তোমার নয়
আমিও বাবা,
ইচ্ছা করলে অনেক আগেই
দিয়ে দিতাম থাবা,
ব্যথায় জর্জরিত হয়ে তখন
আমি না ধরি,
পড়তো মাটিতে গড়ায়
সইতে না পারি।)


(অর্জুন বচনঃ
নিরস্ত্র করে তুমি
মেরেছিলে তাকে,
এখন কেন ভয় হয়-
আমার হুংকারে?
এত যদি মায়া হয়,
ছিলে কেন চুপ?
বন্ধ কেন করো নি-
মরণের কূপ?)