" দীপাবলির ইতিকথা "


অশুভ শক্তি বিনাশীনী  মা কালী আসারই পূর্বাভাস
অমাবস্যার ঘনঘটা আঁধার দেয় দীপাবলির ইতিহাস। অসুরদের অত্যাচারে যখন ভীতসন্ত্রস্ত ওই দেবস্বর্গ
দেবী দুর্গার আগমনে শুরু হয় যেন অসুর নিধন যজ্ঞ।


অসুর বংশ ধ্বংস হলো দেবী মা দুর্গার ওই আক্রোশে
দেবকুল হলো অসুরমুক্ত এলো শান্তি স্বর্গালোকে শেষে।
অলীক ভাবনা স্বর্গালোক দেবদেবীর হয়নি অসুর ধ্বংস
অটুট রেখেছে রক্তবীজ তার শেষ অসুরদের এই বংশ ।।


মাটিতে পড়লে রক্তবীজের যদি একটি ফোঁটাও রক্ত
জন্ম নিতো হাজার হাজার কত যে দুষ্টু অসুর ভক্ত।
অসুর দেখে দেবী দুর্গার মনে জাগলো দারুণ ক্রোধ
দুই ভ্রূর মাঝে জন্ম কালীর শুধু নিতে তার প্রতিশোধ ।।


মা কালীর ছিল অগ্নিদৃষ্টি বিশাল ভয়াল ভয়ঙ্করে
কতনা অসুর ধ্বংস হলো এই মা কালীরই হুঙ্কারে ।
ক্রমেই হলো অসুরদের কাছে মা কালী যেন ত্রাস
লাল টকটকে জিহ্বাতে করেন অজস্র অসুর গ্রাস।।


তবুও হয়নি মৃত্যু রক্তবীজের যেন অমর তার প্রাণ
অস্ত্রাঘাতে বিদ্ধ করে মা কালী করেন তার রক্তপান।
রক্তশূন্য দেহখানি তার শক্ত হাতে ওই শূণ্যে তুলে
নিথর শরীর মা কালী সজোরে দিলেন অদূরে ফেলে।।


আকন্ঠ রক্তপানে মা কালী হলেন কেমন যেন মত্ত
অসুর নিধনে খুশির জোয়ারে করছেন প্রলয়নৃত্য ।
অসুরদের কাটাহাতে করলেন তাঁর কোমরবন্ধনী
কাটামুণ্ডুতে বানালেন তিনি তাঁর গলার মালাখানি।।


প্রমোদ গোনেন দেবতারা দেখে মায়ের নৃত্যে অবিরত
বাঁচাবার তরে শুধু পৃথিবীকে হলেন শিবের শরণাগত।
শান্ত করতে প্রলয়নৃত্য করেন মা কালীকে আহ্বান
নৃত্যরত উন্মাদিনী মা কালী দিলেন না তাতে কান।।


অনুপায় তাই মা কালীর পথে করলেন শিব শয়ন
শিবের শরীরে পাদস্পর্শে থামালেন নৃত্যের মাতন।
পায়ের নীচে স্বামীকে দেখে জিভ কাটলেন কালী
অশুভশক্তি বিনাশে হলো শুরু এই শুভ দীপাবলি ।।


কার্তিক অমাবস্যায় পরিচিত মা "দীপান্বিতা" কালী
জ্যৈষ্ঠে"কলাহারিনী" আর মাঘে "রটন্তী কালী" বলি।
"দক্ষিণাকালী""শ্মশানকালী","ভবতারিণী","আনন্দময়ী"
"ভদ্রকালী""রক্ষাকালী""মহাকালী""চামুণ্ডা""ব্রহ্মময়ী"।।


                           --------0--------