নিষ্প্রভ অনস্তিত্বে জাগে পরাবাস্তব প্রতিস্বর,
অধিকারহীন অস্তিত্বের অপার্থিব ঘূর্ণাবর্ত।
মায়ার মায়াজালে আচ্ছন্ন অন্তরাত্মা,
অস্তিত্ব ও শূন্যতার সীমান্তে বাঁধা চেতনার মন্দ্রসুর।
অপসৃত আলোয় ঢেকে যায় তমসার আঙিনা,
স্বপ্নের রন্ধ্রে জমে থাকে অশ্রুত বিষাদগাথা।
অলীক মোহের শেকলে বাঁধা জীবনের ব্যঞ্জনা,
অতল গহ্বরে হারায় সম্ভাবনার জ্বলজ্বলে প্রদীপ।
চিরন্তন যন্ত্রণার অনুনাদে জাগে প্রশ্ন,
মায়ার আরম্ভ কি শুধুই বিভ্রমের বিভাস?
অথবা একান্তই প্রহেলিকার কালো আয়না,
যেখানে সত্যের প্রতিবিম্বেও লুকিয়ে থাকে অসারতা।
অদৃশ্য সেতুবন্ধে আটকে থাকা চেতনার কাব্য,
নিরর্থকতার উৎসবেই মায়ার পরিণতির ব্যাখ্যা।
শেষের পরেও কি থাকে কোনো আশ্রয়ের রেখা?
নাকি উপসংহারেই নিহিত জীবনের শেষতম দেখা?
তাই মায়ার ফাঁদে জড়ানো প্রতিটি অনুবাদ,
শুধুই শূন্যতায় বোনা এক অপরিসীম আর্তনাদ।
জীবনের গভীরতম রহস্যে লেখা উপসংহার,
সময়ের নির্দিষ্ট পাঠ্যে লিপিবদ্ধ অদৃশ্য অঙ্গীকার।