সেই এক বিকেলে তুমি আমার ডান হাতে রাখলে বাম হাত—
না ছিলো গোধূলির আভা, শুধু কোনো ওড়না হাওয়ায় ওড়া,
তবুও আঙুলের ভাঁজে ভাঁজে
একটি স্বর্গসঙ্গীত জন্ম নিয়েছিলো—
যা কেবল শ্রবণ করে হৃদয়, কান নয়।
তুমি তখন ছিলে হাওয়ার মতো মুক্ত,
নিস্তব্ধ বৃষ্টির মতো কোমল,
আমি তখন তপ্ত বালুকার উপর জলছায়ার মতো—
ছুঁয়ে ছুঁয়ে হারিয়ে যেতে চেয়েছি।
আজ তুমি দাঁড়াও অন্য দিগন্তে,
যেখানে তোমার সকালের চুল শুকোয় কারও কাঁধে,
তোমার নিঃশ্বাসে উঠে আসে
অন্য হৃদয়ের ঘুমের তৃপ্তি,
তবুও সে জানে না
কীভাবে এক দৃষ্টিতে ছুঁয়ে যাওয়া যায়—
চিরগভীর এক অস্তিত্বের নীরব কম্পন।
সে হয়তো জানে কিভাবে তোমার কপালে আঁচল দিতে হয়,
কিন্তু জানে না কীভাবে তোমার এক চোখে লুকানো থাকে
একটি অপ্রকাশ্য মহাবিশ্ব।
সে হয়তো থাকবে তোমার খুব কাছেই,
নিমগ্ন হবে প্রতিটি দিনে,
তবুও তোমার হাত ছুঁয়ে পাবে না
সেই প্রথম পরশে উন্মোচিত অনন্তের সুখ।
আমি তো কেবল এক অতিথি ছিলাম,
দুই চায়ের কাপে এক বিকেল,
তবুও সেই সন্ধ্যার আলোয় আমি দেখেছিলাম—
তোমার আঙুলে দুলছে এক টুকরো সৃষ্টি।
আজ তুমি অন্য ঘরের আঙিনায় হাঁটো,
তবুও আমি জানি—
তোমার হৃদয়ের গোপন কুঠুরিতে
একটি নামহীন কবিতা এখনও অপ্রকাশিত।