আমি খুঁজি—
শব্দের গভীরে এক নিঃশব্দ সত্তা,
যে নেই কোথাও, অথচ প্রতিটি অস্তিত্বে তারই উপস্থিতি।
যে সূর্যকে জ্বালায় না,
তবু আলো জন্মায় -তারই ইশারায়।
আমার আত্মা হাঁটে—
পাথরের মতো ভারী শরীর টেনে,
তোমার দিকে, হে অনন্ত!
যে নেই আকারে, নেই সংজ্ঞায়,
তবু প্রতিটি নশ্বরতা তোমার চিহ্ন বহন করে।
তোমার চরণচিহ্ন আমি খুঁজি
একটি শুকনো পাতায়,
একটি মৃত পাখির ডানায়,
একটি অস্ফুট কান্নায়—
আর কখনো এক অনাথ শিশুর হাসিতে।
তুমি কে?
এক নদীর মতো, যার উৎস অদৃশ্য,
গন্তব্য অনন্ত।
আমি সেই নদীর এক কণিকা,
প্রতিনিয়ত স্রোতের বিপরীতে তোমার নাগাল পেতে চাই।
তুমি কি আলো?
তবে কেন অন্ধকারের মধ্যেই তোমার গভীর ছায়া দেখি?
তুমি কি প্রেম?
তবে কেন বিচ্ছেদের মধ্যেই তোমার স্পর্শ অনুভব করি?
একদিন, সব শব্দ ফুরাবে—
জিহ্বা থেমে যাবে, চোখ হবে নিষ্প্রভ।
তখন আমি শুধু শোনাব
তোমারই নামে এক নিঃশব্দ গান,
যা শুনে আকাশ কাঁপবে না,
শুধু তুমি একটু শুনে নিও—নিজের ভাষায়।