আমি নদীর মতো তোমার পথে বয়ে যাব,
ক্লান্ত সন্ধ্যায় শিশির হয়ে ঝরবো,
একাকী রাতের চাঁদ হয়ে জ্বলবো,
অভিমানের কালো মেঘ সরিয়ে দেবো নীরবে।

তোমার গোধূলি চোখে রঙ ছড়াবো,
শুকনো পাতার কান্নায় বসন্ত ফিরিয়ে আনবো
স্বপ্ন ভাঙার শব্দ ঢেকে দেবো নীরবতায়,
নিঃশব্দে পাশে থাকবো, যেমন ছায়া থাকে আলোয়।

আমি ঝর্ণার স্রোত হয়ে তোমার কষ্ট ধুয়ে দেব,
গহন অরণ্যের বাতাস হয়ে ছুঁয়ে যাবো তোমার হৃদয়,
বৈশাখের প্রথম বৃষ্টির মতো এসে জড়াবো তোমায়,
শীতের কুয়াশার চাদরে মুঠো করে রাখবো উষ্ণতা।

আমি পাহাড়ের চূড়ায় উঠে তোমার নাম লিখবো,
সমুদ্রের ঢেউয়ে ঢেলে দেবো আমার অপেক্ষার শব্দ,
তপ্ত মরুর বুকে শীতল মরুদ্যান হয়ে আসবো,
ঝড়ে বিধ্বস্ত বৃক্ষের শাখায় নতুন কুঁড়ি হয়ে ফুটবো।

আমি সূর্যের রং হয়ে ভোরের আকাশে মিলিয়ে যাবো,
রাতের আকাশে নক্ষত্র হয়ে জ্বলবো তোমার জন্য,
শীতের রাতে জোনাকির আলো হয়ে চমকে দেবো তোমায়।
প্রজাপতির ডানায় উড়িয়ে দেবো আমার সমস্ত প্রতীক্ষা।

যদি ঝড় ওঠে, আমি নিঃশব্দ বৃষ্টি হয়ে তোমায় ছুঁবো,
যদি রাত দীর্ঘ হয়, জোছনা হয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেবো,
যদি পথ হারাও, আমি উত্তরদিকের নক্ষত্র হবো।
আর যদি এজন্মে চলে যেতে হয়— পরজন্মে
আমি বসন্তের সুগন্ধ হয়ে ফিরে আসবো তোমার হৃদয়ে।