নৈঃশব্দের প্রাচীন আকাঙ্ক্ষা সব শেষমেশ
শূন্যতার দিকেই গেছে,
সকল পূর্ণতা--লৌকিকের সব অবদান।
চন্দ্রমল্লিকার বনে তাই হাহাকার, দীর্ঘশ্বাস মাছের শরীরে।
কেন, তা নদী জানে--
করোটির ধু ধু প্রান্তরে পথ-হারানো হু হু জ্যোস্নারাত জানে সব,
জানে জলের উপর ভেসে থাকা হাজার দ্বীপের মেঘ।


আমরা জানি না--
আমাদের হাতে কবে মুছে গেছে শৈশবের রেখা !
ফাঁকা হয়ে থাকি নিশিদিন, সুরহারা আর কাঁপা হয়ে
যেমন দ্বীপেরা থাকে, এ ওর দিকে তাকিয়ে
স্কার্টপরা শীতার্ত সন্ধ্যার মতো একপায়ে দাঁড়িয়ে।


আলোর চৌহদ্দি ঘিরে, অন্ধকার খুঁড়ে খুঁড়ে
তুলে আনি আহত বাতাস
ফুঁ দিলেই শুধু কান্না, বাঁশির অন্তরে শুধু নুয়ে-পড়া স্বর
সাঁকোর হাত না ধরে কেউ যেতেই পারি না
নির্জনতার বুকের ভিতর।


মাছেরাও তাই দিকভ্রান্ত, বহুপথ ঘুরে শেষে
ফিরে আসে জলের মায়ায়
পারাপারহীন রাত্রি তার পায় না দিনের দেখা
কখন ফুরায় দিন, রাত্রি জানে না তা।