আমার এক খন্ড অনাবাদী জমি ছিলো,
সেই জমিতে ঝুপড়ির এক ঘর ছিলো।
তোমার স্বাধীনতা ছিলো অবাদে বিচরণের,
উড়তে তুমি অহর্নিশি অবিকল মুক্ত বিহঙ্গের।


আমার একটা কানন ছিলো,ছিলো অযুত সম ফুল,
ফুল ছিঁড়ার নিষেধ ছিলো তবুও করেছিলে ভুল।
বাগান তোমার হাতের মুঠোয় থাকতো অহর্নিশ,
সেই বাগিচার পুস্প বৃক্ষে তুমি দিয়ে গেলে বিষ।


আমার একটা হাউড় ছিলো,ছিলো ডিঙ্গি নৌকা,
বৈঠা লগি তোমার হস্তে ঘুরতে তুমি একা।
ডিঙ্গির তলায় ফুটো করলে বলিনি তবুও কিছু,
তীরে তুমি উঠেই গেলে ছুটে মরীচিকার পিছু।


আমার একটা স্বপ্ন ছিলো, তুমি হবে রাণী,
আমি হব রাজা আর থাকবে চাকর চাকরানী।
রাণী তুমি হয়েই গেলে আমায় করে একা,
অগস্ত্য যাত্রাকালে এসো,একবার দিও দেখা।


আমার একটা মন ছিলো,সেথাই তোমার বসতী,
সেই মনেতে বিষ মাখানো তীর ঢুকালে তুমি যুবতী।
আমার প্রেয়সী তুমি ছিলে তোমার আমি নয়,
তাইতো তুমি ভুলে গেলে দিলে মহত মনের পরিচয়।


রচনাঃ১৯/১২১৮ খৃীষ্টাব্দ।
--------------------------------------
পরীর দিঘিরপাড়,পটিয়া,চট্রগ্রাম।