নন্দিনী কেনই তোমাকে আমার এতই বেশি মনে পড়ে,
ভালোবাসা সে-তো হারিয়ে গেছে কোন এক কালবোশেখী ঝড়ে।
কেমন আছো নিশ্চয়ই ভালো-
যদিও কেমন আছো জানার অধিকার টুকু কেড়ে নিয়েছ অনেক আগে,
তবুও বলছি তুমি আজ কেমন আছো জানার ইচ্ছা জাগে।
সময়ের বসন্তদূত তুমি,অসময়ে কি পাব দেখা?
যাযাবর মন বুঝিতে চাইনা আজ সে একা।


যতই চাই তোমারে ভুলিতে পারিনা আমি তাহা,
কেমনে ভুলে গেলে ভাবতে পারিনা আহা!
আনকোরা প্রেমিক আমি এই নব যুগে,
নিবির্ত্ত মানব আমি পুড়ছি মহা প্রেম রোগে।
মনে কি পড়ে তোমার গত মধুমাসে?
প্রকান্ড এক মহীরূহের তলে প্রবল পবন আসে।


পবনের তোড়ে পরিধেয় তোমার হয়েছিলো হরন,
দূরদর্শী নেত্র-যুগল আমার তাহা করিল অবলোকন।
তুমি লজ্জায় লালে লাল টোল পড়া গালে,
বিনয়াবনত স্বরে তুমি,চলে যাও কাল এসো মন চাইলে।
নিস্তেজ আমি ঠায় দাঁড়িয়ে তুমি হয়ে গেলে অদৃশ্য,
অগস্ত্য যাত্রায় সেই যে গেলে তুমি করে আমায় নিঃশ্ব।


অতিশয় প্রেম হুতাশনে পুড়ে আজো মন আমার'ই,
ভুলতো আমার একার ছিলোনা কিছু ভুল ছিলো তোমার'ই।
প্রেমিক হৃদয়ের আমি করেছি বহু আগে সৎকার,
সীমন্তনী তুমি আজ অন্যের ঘরে পাতিয়াছো সংসার।
তোমার ঠিকানা আমার জানা ছিলোনা,
তুমিতো জানতে ওগো কামিনী আমার ঠিকানা।
শুধু একটিবার বলবার স্পৃহা ভালোবাসা এখনো অটুট,
তাইতো কবিতার ছন্দে তোমায় লিখি রোজ চিরকুট।


রচনা কালঃ ০৩/০৯/২০১৮ খৃষ্টাব্দ।
--------------------------------------------পটিয়া,চট্রগ্রাম।
সময়ঃ রাত ১১.০০টা।