সহসা সে দিন নিশুতি রাতে নিদ্রাভগ্ন আমার,
অসময়ে তোমাকে স্বপ্নে দেখি বারংবার।
বিছানায় উঠে বসে ফিরে যাই ফেলে আসা অতীতে,
যে সময় একটু একটু মজে ছিলাম তোমার পিরিতে।


আজ এতো দিন পর দেড় যুগ আগের কথা স্মরে,
কিসের যেনো একটা টান পড়েছে বুকের বাম পাঁজরে।
মনে পড়ে গেলো বন্যায় ভেসে গিয়েছিল রাস্তা,
স্কুল ছুটির পর ফিরে এলে করে আমার উপর আস্থা।


হাত পসকে স্কুল ব্যাগ পানিতে ভেসে গেলো তোমার,
আমিই এনে দিয়ে ছিলাম সেই দিন দিয়ে সাঁতার।
তুমিও একটু একটু ভালবেসেছিলে আমায়,
যা বুঝিতে পেরেছিলাম তোমার কথায়।


তবুও অজানা এক ভয়ে বলা হয়নি ভালবাসি,
ধনীর দুলালী তুমি,তোমাকে কি করে ভালবাসি।
ফিরিয়ে নিলাম মন ভুলে গেলাম তোমায়,
তুমিও সুখ খুঁজে নিলে নিজের মত করে অন্য ঠিকানায়।


পুরোনো কিছু কাগজ হাতড়ে তোমার ঠিকানা,
খুঁজে পেতে চাইলাম কোথাও পেলাম না।
পরে সেল ফোন নিয়ে দেখি নাম্বার পাই কি না?
তাও পেলামনা তুমি হয়তো রাণীর হালতে আছো-তোমার ঠিকানা জানিনা।


সেই রাত আর ঘুম হয়নি তোমার কথা ভেবে,
না বলা অনেক কথা তুমি আনমনে বুঝে নিবে।
যাহা লিপিবদ্ধ করিতে চাই কবিতায় তবে তা আমি করবোনা,
তুমিতো অন্যের ঘরে করছো স্বপ্ন রচনা।


জানিনা তোমাকে আর দেখব কি না?
দেখা যদি নাও হয় চোখে পড়ে যদি কবিতা খানা।
তবে জেনো সেই দিন ভালবাসার কথা না বললেও- আমি এখনো তোমায় ভালবাসি,
ভুলতে চেয়ে ছিলাম বহু বছর আগে - আবার স্বপ্নে এসে জালালে অনল হে স্বপ্ন বিলাসী।


আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখি তোমায় দেখার,
আগে বুঝতে পারিনি তুমি যে মিশে আছো অন্তরে আমার।
মনের অজান্তেই দু'ফোটা বেদনার অশ্রু গেলো ঝরে,
পুরোনো ভালবাসা উতরালো দেড় যুগ পরে।


রচনাঃ ২২/০৯/২০১৮ ইংরেজি।
----------------------------------------
পটিয়া, চট্রগ্রাম।
এটি কোন কবিতা নয় একান্তই আমার জীবনের অতীত স্মৃতি গুলো মনের হেয়ালী তে কবিতার মত করে লেখার চেষ্টা মাত্র।