উত্তম অবয়বে উদ্ভাসিত তব জননীর বদন খানি,
অহর্নিশি ক্ষীণ কায়ায় পরিণত হচ্ছে মা জননী।
নিলয় ভর্তি তমস্র এখন প্রসূতি গৃহে নাই,
মরন ব্যাধি মায়ের গাত্রে বসবাস করিতে চাই।


অন্ধের যষ্ঠী সেই মায়ের আছে এক বড় ছেলে,
ছোট চাকরি তার অল্প বেতনে করেছিলো খুব হেসে খেলে।
মায়ের সেবায় মনোনিবেশ করিয়া শেষে হারালো চাকরি,
বিছানায় পড়ে আছে মা, মা ই যদি না থাকে চাকরি কি করি?


এই ভেবে বড় ছেলে চাকরি হতে বিমুখ,
দিনে দিনে তাহার মায়ের বাড়িতেছে অসুখ।
দেশ বিখ্যাত আরোগ্য নিকেতনে মাকে নিয়ে যাই,
ষাট টা দিন অনবরত পথ্য সেবন করিয়া ও মা আজ বিছানায়।


কতশত পরিক্ষা প্যাথোলজির ব্যয় ভার শেষে,
নাসিকা,নেত্র বদনে জমে আছে ক্যানসার এক পাশে।
কি করিবে বড় তনয় ভাবনার অন্ত নাই,
অফিস সহকর্মী বসদের নিকট সাহায্য প্রার্থনা তাই।


কলিগ বস্ কেউ বসে নেই সাহায্য তাহারে করিবে
দোয়াও ভালবাসা অফুরান মা তাহার বাড়িতে ফিরিবে।
সেই দিন আমি অবলোকন করি মায়ের সাহায্যর্থে,
ছবি সমেত লক্ষী ভাঁড় ধরিল খেলার মাঠে নিজ হস্তে।


কেউ দশ কেউ পাঁচ কেউ বা বিশ দিচ্ছে ভরে,
আমি অধম ঠায় দাঁড়িয়ে ভাবছি বুঝিতেই - পারিনি নীরবে আমার অশ্রু গেলো ঝরে।
অর্থ কঁড়ি না থাকুক তার তবুও সে ভাগ্যবান,
মাকে বাচানোর আকুতি তার নেত্রে বদনে বহমান।


আমার তো তারও সুযোগ নেই হারিয়েছি বহু আগে,
স্ব-শ্রদ্ধ সালাম সানজিদ তোমায়! তোমার শ্রম বৃথা যাবেনা মা তোমার উঠবেন জেগে।
সানজিদ তুমি নির্ভীক অদম্য হারাইয়োনা হুশ,
বিন্দু সম পঙ্কিল মুক্ত জননী তোমার নেই কোন কুলুষ।


রাজধানীর আহসানিয়া মিশন ক্যানসার হাসপাতালে,
মৃত্যুঞ্জয়ী মা তোমার জয় করবে বিমার এই মন বলে।


রচনাঃ পটিয়া, চট্রগ্রাম।


এই কবিতাটির পটভূমি সব আজকে পর্যন্ত বাস্তব। আমার অফিসের একজন এস আর ও তার মাকে নিয়ে লেখা। তার মার অবস্থা বর্তমানে খুবই খারাপ সে এখন ঢাকার আহসানিয়া মিশন ক্যানসার হাসপাতালে ভর্তি আছে সবাই তার মায়ের জন্য দোয়া করবেন।