অজ্ঞাত ভাবনায় সারাটা দিন কাটিয়েছি হেলায়,
তনয়া তোমার প্রেম রশ্মি এখনো থাকে পাহারায়।
পরিতাপ তোমার অবজ্ঞায় আমি প্রেম আগুন্তুক,
সতত সত্যিই ছিলো প্রেম আমার তবুও আমি মিথ্যুক।


গভীর নিশুতি রাতে আমি যখন জীবনের অংক কষি,
অগভীর মনে গভীর তন্দ্রায় তুমি /তোমরা তখন খুশি।
নিরলস জীবনের খাতায় করি আঁকি ঝুঁকি,
জানালার বাহিরে তখন জোনাকি দেয় উঁকি।


তিমির রাত্রি জানালার গ্রিল ধরে ঠায় দাঁড়িয়ে,
ভাবছি কোথায় ছিলাম কোথায় এলাম কি হারিয়ে।
বাতায়ন দ্বারে প্রকান্ড মহিরূহে হুতুম পেঁচার ডাক
বাড়িয়ে দিচ্ছে আমার প্রেম হুতাশন হৃদয় পুড়ে খাক।


তুমি আমি সরোবর মাড়িয়ে জননীর অগোচরে,
কৃষ্ণপুর মাতামুহুরী নদী তীর হেঁটে ফিরে আসি দুপুরে।
ও সব তোমার মনে থাকার কথা না তুমিতো ভুলো মন
সবই আমার হৃদয় ক্যনভাসে স্বযত্নে সাজানো এখন।


প্রচন্ড ঘুমকাতুরে নন্দিনী তুমি ঘুম রাজ্যেই তোমার বসবাস,
নিদ্রাহীন অমা রাতে বসে আছি আমি  ঠিক যেন কারাবাস।
ঘুম রাজ্যের নিদ্রা দেবীরা আজ সুপ্তি মগ্নে বিভোর,
আমিই আছি নিদ্রা দেবীর প্রতিক্ষায় হয়ে যাচ্ছে ভোর।


রচনাকালঃ ১৩/০৯/২০১৮ খৃষ্টাব্দ।
--------------------------------------------
রাতঃ১২.০৭ মিনিট পটিয়া,  চট্রগ্রাম।