আমি নয়তো নন্দ দুলাল হত দরিদ্র চাষীর অন্ধের যষ্ঠি,
তাইতো রোজই বাবার সাথে ক্ষেতে যাই কাজ করতে এক মুস্টি।
আমার নিকেতনের উত্তরে কিছু দুর হেঁটে তোমার বাসগৃহ,
একটু অবকাশ চেয়েছিলো আমার ক্লান্ত দেহ।
প্রসূতি তোমার রসুইঘরে উনুনে দিচ্ছিলো অনল,
চেয়েছিলাম বারি এক ঘঠি পাই যদি শীতল।


বিস্ময়ে থাকিয়ে দেখি ঘঠি পুর্ন বারি হস্তে তুমি,
মন অন্তরীক্ষ সহসাই উঠিল কাঁপি কি দেখিলাম আমি?
সেই প্রথম দেখেছিলুম তোমায় ইন্দ্রের অপ্সরী,
সে অবদি দাগ কাটিয়াছো মোর মনে তোমার শর্বর কবরী।
বিশুদ্ধ ভালবাসায় বাঁধিবো তোমায় স্বপ্ন ছিল মনে,
কোন এক অচিন ভয়ে ভালবাসি তোমায় আসেনি বচনে।


তুমি অতিশয় ধূর্ত তনয়া বুঝে নিলে অপ্রকটিল বচন,
তুমিও নাকি ডুবে ডুবে জল খেয়েছিলে তখন।
এখনো তব অবয়ব আলেখ্য আছে হৃদমন্দিরে,
মন পাথারে তোমার বেদনার ঊর্মি উচঁলাইয়া পড়েরে।
ছলনার আচ্ছাদনে তোমার মন আলোকিত করেনা প্রভাকর,
আমার কাছে ছিলে তনয়া তুমি স্বর্গীয় অজর।


আচমকাই তোমার মনের হয়েছিলো অজানা সংস্কার,
আমি অবুঝ বুঝিনু হায় কি হারাইতে ছিলাম আমার,
সেই প্রবাস ফেরৎ ধনীর দুলাল দেখিয়া তোমার পিতা,
ঠিক করিল জামাতা,
তুমিও তাদের দলে করিলে বিশ্বাস ঘাতক তা।
পরিশুদ্ধ ভালবাসা আমার আমি এখনো অনুঢ়া,
অহর্নিশি তোমার স্মৃতিরা আমার বক্ষে করে মহড়া।
আমাকে না দেখিলে যেই তুমি করিতে ক্রন্দন,
সেই তুমি অন্যের হাঁড়িতে করিতেছ অন্ন রন্ধন।


রচনাঃ ০২/০৯/২০১৮ খৃষ্টাব্দ।
-------------------------------------
পটিয়া, চট্রগ্রাম।