সবুজে ডাকা সরু পথের দুপাশে হরিৎক্ষেত
রাস্তায় পথিকের পদচিহ্ন সরু সফেদ,
পাশের হিজল বনে ডাহুকের ডাকে মৌনতা আমার ভাঙ্গে,তুমি বলিয়াছিলে খোশ আমদেদ।


স-হাস্যে বদন তোমার উজ্জল অপরূপ টোল পড়া গাল তোমার দেখিয়া আমি মুগ্ধ,
ঋতু বৈচিত্র্যের নিয়ম তোমার জানা নির্ভুল,
তাই গোলাপের পরিবর্তে হস্তে কদম ফুল।


বর্ষায় থই থই খড়ি জোগানের ধৈঞ্জার বীল পাটক্ষেতে কোমর বারি ডিঙ্গিতে তুমি-আমি,
পাটক্ষেত মাড়িয়ে সামনে শাপলা ফুটে আছে সারি সারি,সে কি অপরূপ জলাভূমি।


আচমকাই নেমে এল শ্রাবণের বারি দ্বারা দুজন ভিজে একাকার আমাকে আগলে রাখার সে কি তোমার ব্যার্থ চেষ্টা,
কখনো ওড়না ঢেকে কখনো নুয়ে থেকে আমাকে বেপরোয়া বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচানোর নিরলস প্রচেষ্টা।


কাক ভেজা হয়ে দুজন ফিরিয়া আসি বাড়ি,
মা সে দিন খুব বকে ছিলো বৃষ্টিতে ভিজেছি তাই,
শুনেছিলাম তোমার জ্বর উঠেছিল সেই রাত্রে
বৌদি কহিল জ্বরের ঘোরে ডেকেছিলে আমায় আমি নাই।


মনে পড়ে সে কি অপরূপ রূপ সুধা তোমার,বদনে দেখেছিলাম প্রিয়দর্শিনী,
তোমার ভালবাসা নিরন্তর তাড়া করে বেড়ায় এখনো প্রতিটা রজনী।


সবই আজ ধূসর ফ্যাকাসে,স্মৃতি মলিন হতে চলেছে হৃদয়ে ক্যানভাসে  আঁকা ছবি,
মনে কি পড়ে তোমার? সেই হারানো সোনালী দিনের কথা? বলিতে তুমি আমায় আমি না কি স্বভাব কবি।


আমি এখনো তোমায় ভালবাসি থাকি তোমার প্রতিক্ষায় অহর্নিশি,
কবে তুমিও এসে বলিবে আমায়!
আমিও এখনো তোমায় ভালবাসি।


রচনাঃ০১/০৮/২০১৮ খৃষ্টাব্দ।
-------------------------------------
পটিয়া, চট্রগ্রাম।
বেতার যোগাযোগঃ০১৮১৫-৩৬৭৩৩৫