ব্যাস্ত নগরী কোলাহল চারিদিক
বসে আছি বাতায়ন দ্বারে তোমার পথ চেয়ে
দিন শেষে সব পাখি নীড়ে ফিরে ঠিক,
আসো না তো তুমি নব্য সাথী পেয়ে।


তুমি প্রেয়সী যেখানে রেখে গিয়েছিলে
সেখানেই নিত্য যাওয়া আসা করি -
যদি তুমি না পাও ফিরে এসে,
গোধূলি বয়ে গেলো তুমি ফিরে নাহি এলে
দূরে মুয়াজ্জিনের আযান শুনি রাত্রি বুঝি গেলো এসে।


দিন যায় রাত যায় মাস গিয়ে হয় বছর
তুমি ফিরে এলে না রয়েছি প্রতিক্ষার প্রহর গুনে,
জানালার সম্মুখে কাঠাল গাছে পাখি বেঁধেছে ঘর
তুমি আমি কল্পনায় সাজিয়ে ছিলাম ঘর-
মন মিলিয়ে মনের সনে।


মৌসুম শেষে পাখি চলে যায় দূরে
কাঠাল গাছে পড়ে থাকে খালি বাসাটা,
আবার সেই বৃক্ষে নতুন পাখি থাকে এক ঘরে
পক্ষিদের ভাঙ্গা গড়া দেখে অস্থির এই মনটা।


আমি তো পাখিদের মতো হতে পারিনি
আবার সাজাতে পারিনি নতুন করে ঘর,
ইস্পাত কঠিন হৃদয় তব কখনো আমায় মনে পড়েনি?
তুমি চাইলে আবার ফিরে আসতে পার- আমি হয়নি আজো পর।


তোমার ঠিকানা আমার জানা নাই প্রিয়া
তুমিতো জানো আমার ঠিকানা,
নিরন্তর ভালবাসা তোমার জন্য ভালবাসি প্রাণ দিয়া।
নাইবা এলে ফিরে তুমি তবুও শুভ কামনা।


হায়াতের গাড়ি চড়ে পাড়ি দিয়েছি বহু দূর পথ
এই পথ পাড়ি দিতে গিয়ে অচেনা মানুষ
-হয়েছে আপন চির চেনা তুমিই হয়ে গেছো পর,
অস্থির জীবনের থেমে যাবে একদিন স্থির রথ
বুঝবে সে দিন তুমি,তোমায় কত ভালবাসিতাম,ভালোবেসে গিয়েছি জনম ভর।


রচনাঃ১২/১০/২০১৮ খৃষ্টাব্দ।
------------------------------------
পটিয়া, চট্টগ্রাম।