কেউ বুঝতে চায় না ঐ অভাগীর কথা,
তার হৃদয়ে যে লুকিয়ে আছে হাজারো কষ্টের ব্যাথা।
গরীবের ঘরে জন্ম তার ভাঙা ঘরে বাস,
দারিদ্রতা তার জীবনটাকে করেছে তছনচ।
মা মরিল ছয় মাস বয়সে বাপ করিল বিয়া,
সৎ মায়ের অত্যাচারে পুড়েছে তার হিয়া।
শিক্ষা দীক্ষা হয়নি কভু ক্ষুধার জ্বালায় শেষ,
দিনরাতের খাটুনিতে দেহ তার ক্লেশ।
বয়স তার মাত্র বারো,
সৎ মা বলে মেয়েকে তুমি বিদায় কর,
ডিঙি মেয়েরে ঘরে বসাইয়া কয়দিন আর খাওয়াইবা?
আমার বাপের ধান-চালতো সবই ফুরাইবা।
ঐ গ্রামের এক বুড়ো নুরুমিয়া নাম,
যুবতী মেয়ে বিয়ে করা এটা তার কাম।
মেয়ের বাড়ি প্রস্তাব দিয়ে  ঘটক পাঠাইল,
সৎ মা খুশিতে ফাল দিয়া উঠিল।
মেয়ের বাপ করিম মিয়া ভাবনাতে ঘামে,
ঘটক বলে দশকরা জমি দিবে মাইয়ার নামে লিখে।
মেয়ের বাপ সুখের জন্য রাজি হয়ে গেল,
এমনি করে তার ললাটে আধার নেমে এল।
কে দেখিবে ঐ অভাগীর চোখের নোনা জল,
সবাই বলে বুড়ো হলেও আছে তার ধন।
ধনে নয় নারী তুষ্ট বুঝেও বুঝে না,
কেউ দেখেনা তার মনের বেদনা।
কেউ বলে মাইয়াডার কপাল পোড়া,
কয়েদিন পর বুড়ো হবে ঘাড়ের বোঝা।
অদৃষ্টের দোহাই দিয়ে সবই মেনে নেয়,
মনের কষ্টে নয়ন জলে শুধু বুক ভাসায়।