শৈশবের দিনগুলি পড়ছে আজ মনে,
কত সৃতি মিশে আছে আমার শিশু কালে!
ধুলো বালি খেলার মাঝে কাটত সারা বেলা,
ভাত বাড়ে মা ডাকত কোথায় গেলি সোনা।
লুকোচুরি খেলার মাঝে কত মজা পাইতাম!
ঝিঝি পোকার শব্দ শুনে সবাই ছুটিতাম।
পাড়ার সকল ছেলে থাকতাম মিলেমিশে,
দুষ্টমি করতাম মোরা খেলাধুলার শেষে।
পেপে গাছের ডাটা দিয়ে বাঁশি বানাইতাম,
ঝড়ের দিন আসলে সবাই আম কুড়াইতে যেতাম,
বর্ষাকালে বৃষ্টির জলে ভিজিতাম সারা গাঁ,
সর্দি হবে বলে মা দিত বকা।
বিলের জলে সবাই মিলে শাপলা তুলতে যাইত,
কে বেশি শালুক কুড়াতে পারে এ নিয়ে প্রতিযোগিতাটা চলত।
সুপারির খোল দিয়ে বানাইতাম শখের গাড়ি,
পুতুল খেলায় বধুকে পড়াইত লাল টুকটুকে শাড়ী।
পাঠে মনযোগ দিতাম বেলা হইলে সন্ধ্যা,
গুনগুন শব্দে ঘরটা হইত ছোট্র পাঠশালা।
একটি জোনাকি পোকার পিছে ক'জন ছুটিতাম,
এ নিয়ে সবাই মিলে মজা করিতাম।
সাতার কাটতে যেতাম মোরা পায়রা নদীর জলে,
বালুর চরে দুষ্টমি করছি না ভঙ্গির ছলে।
কত আনন্দ ছিল মোর শিশু কালের খেলা,
আবার যদি ফিরে ফেতাম আমার শৈশব বেলা!