ঘুরে ফিরে আস যবে তব মোর পাশে,
কি জানি কি বলিতে চাই না বলার ছলে।
যে কথা বলিতে চাই লাজ নত স্বরে,
সে কথা লুকিয়ে থাকে মম গহিন ঘরে।
শশীর জোৎসা লুকিয়ে থাকে শশীরই বুকে,
ভালোবাসী বলা যায়না যে মুখে।
বিলের জলে শাপলা ফুটে শত দলে দলে,
একটি শাপলা চেয়ে থাকে অন্যটির পানে।
রাজহাস ছুটে রাজহংসীরর পিছে,
আমি তো ঘুরে ফিরে মরি শুধু মিছে মিছে।
একবার চাহ তব এই অভাগীর পানে,
আজ মনের কথা বলিব তব সনে।
সোনালী ঊষায় সোনালী ধান ছড়াও উঠানে,
হৃদে আকি তব ছবি গৃহ বধুর সাজে।
ওগো বধু! তব জরিণ ফিতায় বাঁধ মম মন,
তোমায় ছাড়া বাচনা এটা আমার পন।
হিয়ার গহিন ঘরে তুমি নিয়েছো গো ঠাঁই,
দিবা-নিশি,শয়নে স্বপনে তব দেখতে পাই।
বাতাসে দোলখায় কচি ধানের পাতা,
তব নিয়ে কবিতা লিখে ফুরিয়েছি অনেক খাতা।
জায়গা নেই আজ কবির খাতায়,
লিখছি তব নাম মনের পাতায়।
তব প্রতি আজ বড় অভিমান যাই রাখি,
মম অন্তরের সুধা বুঝনি কেন সখি?
একদিন ছিনু একা সন্ধাদীঘির ঘাটে,
তুমি আসলে সেথা সূর্য নামে পাটে।
গোধুলীর মাঝে সূর্যটার তার শেষ স্নেহ যায় মেখে,
হঠাৎ তুমি ধরলে হাতটি অমন পরম সুখে,
ভালোবাসার হাসি দিয়ে দুঃখ দিলে মুছে।
পড়িয়ে দিলে বকুল মালা আপনা গড়িয়ে,
সুখের স্রোতে তখন আমি যাই হারিয়ে।
তব প্রিয় বলেছিলে কি বলিব হায়!
ভালোবাসী যায় না বলা বুঝে নিতে হয়।
সুপ্ত ছিল ভালোবাসা নয় অবহেলা
তব বানী আজও প্রিয় যায়না তো ভূলা।