জীবনের শেষ সওগাত আসে সময়ে সময়ে,
কোন ভনিতা, কোন চল খাটে না তাতে ৷
শেষ সওগাতের পূর্বে যে জীবন মরে,
তা একবার নয়, দু'বার নয়, বারবার মরে ৷


তবুও জীবন বেঁচে থাকে, মানুষ বেঁচে থাকে
যেখানে মানুষের জারমিনেশন হয়েছে
সেখানের সেই মৃত্তিকার ঘ্রাণে বেঁচে থাকা যায় ৷
অলি, মঞ্জুষার সৌরভ নিয়ে দিব্যি চলে যায় ৷


পূর্ণতঃ মরার অভিপ্রায় জন্মে না আর
জীবন এরকম,
এখানে খরস্রোতা আছে, উজানে ভাটায়
প্লাবিত হয় নিত্য ৷
তবুও এখানে খরস্রোতার দখল সয়ে বেঁচে
যায় অগনিত বৃক্ষ ৷
মানুষও বাঁচে খরস্রোতায় বেঁচে যাওয়া
বৃক্ষের মতো
আবার নিঃশ্বাস নেওয়া যায়,
প্রচণ্ড দমকা হাওয়ায় নুয়ে যাওয়া বৃক্ষের
মতো করে ৷
রোজ সূর্যোদয় দেখা যায়
ধানের দোলা দেখা যায়
পাতার ফাঁকে শাপলার দ্যোুদুল দেখা যায় ৷


জীবন এ রকম,
কখনও তিমিরে আচ্ছন্ন করে দেয়
কখনও জ্যোৎস্নার আলোকচ্ছটা
কখনও ভগ্ন, খাড়ি উপকূলে পোতাশ্রয়হীন
জাহাজ ৷


জীবন নিষ্ঠুর,
ঠিক যেন শুষ্ক পত্রের মর্মর ধ্বনি
আলেয়ার আলোয় ধাঁধানো, ঝিলিমিলি
অবেলার নীহারিকা, কুহেলিকা কিংবা মরিচিকা ৷
অথবা, জীবন সরলতার জটিলতার সন্ধি ৷
এই রিয়েলিটির পাঁজল বেধ করে মানুষ বাঁচে
একচ্ছত্র আলোকচিত্রে আপনাকে ফের রঙ দেয় ৷
বেঁচে থাকার রসদ খুুঁজে মেঠোপথে,
নীলকান্ত উপেক্ষা করে রাস্তা বুনে সুখের
চড়ুই'র মতো ঘর বুনে কোণে ৷