নিস্তব্ধ রজনী
কোথাও কোন সাড়া নেই; শব্দ নেই
এই বুঝি ধরিত্রি থেমে গেল
তাও  আবার এই রাত্রে?


কেন জানি পাখির কন্ঠ আচমকা
থেমে গেল ৷
ঝিঁঝিঁ অনর্গল শব্দ মিশে গেছে
দুরে; বহু দুরে ৷
একটি মাত্র শব্দ হলে হারাবে প্রান্তরে ৷


সে যে গেল, এক্ষুণি সে আসবে
হয়ত নতুন বিস্ময়ে; নতুন পরিচয়ে
সে আসবে, একেবারে ছুটতে ছুটতে
আমার নীল শাড়ির আঁচলে ৷
কিন্তু কেন জানি ও আসছে না!


আজ প্রথম রাত
আমার এলো চুল হাওয়ায় হাওয়ায় দুলছে
মনে ভীষণ উত্তেজনা
তার পরশে মোমের মত গলে যাবে
আমার অভিনব অনুভব
বন লতার সজ্জিত এই বাসরে ৷


কি আশ্চর্য! খোলা বাতায়নে  এ কাহার ছবি?
আবছায়ার মত দাঁড়িয়ে আছে ৷
যেন তার প্রতিমুর্তি
অনন্ত কাল দাঁড়িয়ে থাকবে
আজ এই রাতের সাক্ষী হয়ে ৷


দেয়ালে টাঙানো আয়নায় মুখ দেখি
কি বিষণ্ণ ছাপ; কোথাও যেন কি নেই?
আমার অন্তর জুড়ে কম্পন শুরু হল
ও আসছে না কেন ?  এ বিষন্ন রাত
আমি একলা একলা পাড়ি দিব
সে বিহনে, একান্ত নির্জনে
মেহেদি রাঙা হাত, লাল টিপ নিয়ে ?


অকস্মাৎ কেউ এসে বলে গেল -
সে নেই ! একটি মাত্র দুর্ঘটনায়
ইতি টানলো এই ফুল সজ্জার !


কপালে রাঙা টিপ ঝরে পড়ল
দুচোখ আমার  ছলছল করে চেয়ে আছে নির্বাক হয়ে ৷


এ কাহার ছবি শায়িত উঠুনে?
কে সে শায়িত যৌবনে ?


নীল শাড়ী আমার কাশ ফুলে ভরে গেছে
প্রথম প্রহরে, মেহেদি পাতায় রাঙা হাত
শোকের বার্তা বয়ে দেয় অগোচরে ৷