বন্ধু দিবসে আমার প্রিয় বন্ধুর প্রতি কবিতাটি উৎসর্গ করলামঃ


বন্ধু তোকে মনে পড়ে
বন্ধু তোকে খুব মিস করি আমি।


কৃষ্ণচূড়ার রঙ তোর খুব পছন্দ ছিল
আমারও যে ছিলনা তা নয়।
কিন্তু তোকে রাগানোর জন্য আমি বলতাম,
''এটা কোনো ফুল হলো? কেমন বিশ্রী গন্ধ।''
তুইও জানি কেমন,
আমার কথাকে সত্যি ভেবে-
মুখ গোমড়া করে চুপচাপ কিছুক্ষণ!
তারপর তোর রাগ ভাঙানোর জন্য
আমার ব্যর্থ চেষ্টা।
একসময তুই নিজ থেকেই হেসে উঠে বলতিস,
''বাদ দে ওসব''
তারপর কত কথার ফুলঝুরি!


ভার্সিটির করিডোরে যেদিন
প্রথম দেখা হয়েছিল দুজনার
আমার চোখের তারায় এখনও ভাসে;
আমি ছিলাম সমাজবিজ্ঞানের ছাত্র
আর তুই
আমার প্রিয় সাহিত্যের......।


এরপর চোখাচোখি প্রতিদিন
তারপর কোন এক বন্ধু দিবসে কথা হয় দুজনার।
সেই থেকে শুরু-
কখন দুজন দুজনার কাছাকাছি চলে আসি!
আসলে বন্ধু বুঝি এমনই হয়
একের কষ্টে অন্যের ভাগ!
একের আনন্দেও অন্যের ভাগাভাগি!


দুজনে পড়ার ছলে লাইব্রেরিতে কত সময় কাটিয়েছি!
ঘুরে বেড়িয়েছি আমাদের প্রিয় ক্যাম্পাসে।
হাতে হাত ধরে!
প্রথম যেদিন তুই আমার এই হাত ধরেছিলি,
মনে আছে তোর ?
আমি লজ্জায় লাল!
আর তুই আমাকে বলেছিলি,
''এই হাত আর ছাড়ছিনে।''


অথচ ভাগ্যের কী পরিহাস!
যখন আমি তোর হাত ধরবো বলে
সব আয়োজন শেষ করলাম-
তখন তুই আমাকে ছেড়ে চলে গেলি।
চিরতরে...
এভাবে কি কেউ চলে যায়?
নাকি চলে যেতে হয়?


তোকে হারানোর পর
আর কোনদিন আমি প্রিয় ক্যাম্পাসে যাইনি;
গ্রামে চলে এসেছি থাকবো বলে।
গ্রাম কত প্রিয় ছিল তোর!
সহজ সরল সাধারণ জীবন।


বাড়ীর উঠোনে আমি একটা কৃষ্ণচূড়া গাছ লাগিয়েছি
যখন ফুল ফোটে-
বন্ধু তোকে খুব মনে পড়ে।।