ছেলেটি ছবি আকতো,রোজ একটি মাত্র ছবি
ছবিতে পল্লির পথে চলা একটি বালিকা
কল্পনার কারুরকার্যে‌ সাজানো তার অজস্র অলংকার
কখনো বাতাশে উড়ন্ত এলোকেশ
কখনো উচ্ছলতাই বাধ ভঙ্গা হাঁসি
কখনো মায়া চোর মনহরিনি,কখনো বা দুরন্ত দুষ্টামি ।


ছেলেটি ছবি আকেঁ আর ভাবে, হোলত নাকি এখনো অনেক বাকি
হাটতে হাটতে চলে যায়-
যেখানে চঞ্চল নারী ক্লান্তির বেসে চলে
যেখানে মুক্ত নারীরা মুখরিত কোলাহলে
কিন্তু না ছবিতে আকেঁনা সেসব রংতুলি ।


সেদিন বিপন্ন এক অস্থিরতায় আপনার গতি ভুলে
সহসা থামিল পথ যেখানে বিত্তহীন ছিন্নমুলে
সেখানে কংঙ্কাল সার অজস্র লোক রোদে পোড়া বদন
আরক্ত চোঁখ ,ক্ষুধার্থ ,রোগাক্রান্ত জীর্ণ  জরার ঘোরে।


ছেলেটি ধিক্কার দেয় ভাগ্যকে আনমনে
এখানে কেন সে এতটা হীনতা সইবেনা তার
বলে আপনার প্রশ্নের  উত্তরে।
ফিরে যেতে চায় আবার দাড়ায় কি এক দৈব আকর্ষণে।


এথা সেথা চায় বিরক্তি অনিহা উত্তেজনায়
একই সাথে কুকুর আর মানুষের বিশ্রাম
এ শিল্প ছিলনা তার কল্পনায়
বাহিরে অভিজাত্যের ফ্রেমে ফনিল ক্রোধ
ভেতরে মায়া পুরি করিল হায় ।


হঠাৎ দৃষ্টি থেমে যায়,একি? এছবি এখানে কেন ?
ধুলোতে লুটায় সেই চুল, সেই হাসিঁ, সেই চোরা চোখ
ছেলেটি ফিরে যেতে চায় কিন্তু পেছন জাপটে ধরে প্রচন্ড মায়ায়।
তবু যেতে হবে তাকে এই তার পণ।
এ মায়া দূর্গম বিপন্ন স্বপন।


ছেলেটা আর ছবি আকেঁনা, এখন সে স্বপ্ন দেখে।
ইট পাথরের প্রাসাদে পালিত পরীর মত মেয়ে যার স্পর্শে প্রাসাদের উচ্চতা বারে বারে খ্যাতি সম্মান।
রংতুলি আর নেই যতনে নেই সেই ছবি আর
বাস্তবতার বর্ষণে মুছে গেছে সে কবে।


বয়স বেড়েছে বাবা থেকে দাদা সে এখন।
কচি-কাঁচার আসরে দারিয়ে আবারো পেল ছবি আকার আমন্ত্রণ
সেই তুলি, সেই রং, সেই ছবিতেই সংযোগ হল
কুকুর আর মানুষের পাশাপাশি বিশ্রাম।


পুরস্কৃত করা হলো তাকে, প্রশংসিত হল ছবি তার, চার পাশে করতালি অজস্র হিল্লোর।
আবারো চমক একি পুরস্কার হাতে কার, কে সে ?
অল্পক্ষণেই ঘোসিত হলো এই সেই বিশেষিত মেহমান যার আগমণে ধণ্য এ আসন।
এখনা সে সেই ছবির মত সেই চুল, সেই হাসিঁ, সেই চোরা চোঁখ।