সেদিন টুটেছে আজ, নারীরা ভুলেছে লাজ,
অন্ধ আবেগে নারীরা যত, শুধুই সেবিছে স্বামী,
দুর্বলতার সুযোগে স্বামী, নিজেরে করিছে দামি।
ভাবেনাই বধূটারে, কত মায়া তার ছাড়িয়া এখানে
এসেছে স্বামীর ঘরে।
খোজেনাই তার আছে অধিকার স্বামীর চরণ চুমি।
সকলি দ্বানে সাজিছে যে নারী মমতার মায়া ভূমি।
স্বামীতে স্বর্গ খুজিয়া যে নারী ঈশ্বর জপে আজ,
তাই বলে নারী ভুলেনাই তারে, ভাবেনাই হীন দাস।
নারীকে করে তুচ্ছ তারা, ঘৃণ্য তার মন পরেছে জরা।
নারী সাহসী, নারী পরশী, নারীকে কর ঘরের লক্ষ্ণী
নয়তো নারী বিদ্রহী হলে ধরনীর বেমানান,
নিশ্চিত তবে আধারে ডুবিবে পুরুষের অবদান।
নারীও পারে জগতের তরে ,করিতে চাইলে সবি,
ভাবোতো পুরুষ, রহিল কি মান, নারীই করিবে যদি ?
পথে ঘাটে ছোটে পুরুষের জোটে এমন নারীর ধারা।
নারীকে এমন বেহায়া নগ্ন, ভাবোতো করেছে কারা ?
এমনো তো দিন আসিতেছে ভাবি, নারীতেই পুরুষ রাখিবে দাবি,
নিজেরে হারিয়া শেষে, এমন যেন না হয় পুরুষ, নিজেই খাচ্ছ রেধে ?
নারী সুখ শশী, সংসারে যদি সব টুকু তার ঢালে
কে বলে শান্তি পালিয়ে বেড়ায় ? এখানে স্বর্গ মেলে।
নারীতে চাপালে অসতের বোঝা, কোমলতা তার টোটে,
মানিবেনা সে কোন বাঁধা আর থাকিবেনা ঘরে মোটে ।
নারী করে ছল, নয় দুর্বল কেন তারে কর হেলা?
সকাল বেলা মেয়ে যে নারী, বধূ সন্ধ্যা বেলা ।
এক নারীতে লুকিয়া রয়েছে ,হাজারো নারীর বেশ,
যে নারী যুদ্ধ জেহাদের মাঠে, সে নারী চালায় দেশ।
নারীতে সুখ আর নারীতে শান্তি, নারীতেই প্রেম কত,
সে নারী লইয়া কোন সে অবোধ তামাশা করে এত।
ধিক তারে ধিক অসতের ভীত, তাহার মর্ম মূলে
উপড়ায়ে দাও কুঠিল ও মন, শিকড় শুদ্ধ তুলে।
নয়তো নারী দংশিবে ক্রোধ, ভুলিবে নারী মানবতা বোধ ,
ছাড়িবে সীমার বেড়ি, ভুলিবে সে যে আসলে সে কে?
                     লইতে মিথ্যে শোধ ।