সদা এলো কেশে
আলু-থালু বেসে
ফুল কুড়াতে আসে
সুধালেই বলে, এই ফুলে সে
প্রত্যেহ মালা গাথে।


নরকংকাল দেহ খানা তার
লোনা জলে ভরা চোখ।
বস্ত্রহীনা শীতের সকালে ও
অন্তরে চৈতি রোদ।


কোথা আজ তার সেই সোনা ধন
কঁচি মায়া মুখ খানি
সেই যে গেল আসেনিতো ফিরে
একরোখা সে বড় অভিমানি।


বলেছিল মাগো ভাষার জন্য
দিতে হলে দিব প্রাণ
তবুও বঙ্গালী দিবনা আমরা
ঢুবাতে জাতির মান।


গাঁথা মালা মার সুবাস ছড়ায়
শান্ত সে মুখ দেখে
বুড়িমার সেই অসান্ত হীয়া
কেঁদে উঠে থেকে থেকে।


সেই কান্নার হয়নিতো শেষ
মৃত্যু অবধী আজো
মাঝ রাতে শুনে কে যেন হঠাৎ
ডেকে বলে শুন মাগো।


চোখে তন্দ্রা বুকে হা হাকার
খোকা ফিরে এসে খোলে নাতো দার
ঘোচে না মায়ের জ্বালা
হতাশা বিষাদের তিক্ষ্ণ দহন
পুড়ে তারে করে কালা।


বুড়ি মা আজো স্বপ্ন দেখেন
বাঁচা কবে ফিরে এসে
টুক টুকে এক রাঙা বধূ তার
ঘরে এনে দিবে মাকে।


যুদ্ধ আজো হয়নি কি শেষ ?
সুধায় আপন মনে
উথালে পাথালে অবুঝ হিয়া
কাঁদে বাঁধা নাহি শোনে ।


মায়ের চোখে ঘুম না আসে
জেগে থাকে সারা রাত  
ঐ বুঝি এলো কার সাড়া পেয়ে
দ্বার খুলে দেখে, একা রাত।