বিয়ে করা.


একটা বয়সের পর সবাই যেমন বিয়ে নিয়ে ভাবে, আমিও দুম করে বিয়ে করে নিলাম, এই সভ্যতার
শিখে আসা ব্যবস্থায়, আমার প্রশ্ন আসেনি ...যে মেয়েতে আমি মজেছি, যার হাতে হাত দিলে হৃদয়ে
সম্মিলিত আলিঙ্গনের বাসনা জেগেছে..তাদের ই একজন হয়ত স্বাভাবিক নির্বাচনে আমার বিয়ে করার বিষয়ে পরিসমাপ্তি ঘটাল... আমি বিবাহিত.


সময়ের ফোয়ারায় চেপে আমি তখন তোমার আমার
খেলাতে সেই প্রাগৈতিহাসিক যুগের ধারক, সন্তান সংসার... বৃত্তে চেপে আমি পানকৌড়ি খেলায় সুখ ও দুখের হালাখাতায় আঁকা বুকি..আমার দিগন্ত জুড়ে সাজানো মেয়ে শরীরে স্ত্রীর নামকরণ ও সন্তানের নবীকরণ...এই তো মনে হয় ফেলে আসা জীবনের উদ্দেশ্য.. বিধেয় ও .অন্তহীনতা, কাব্য ও গদ্যের রগরগে বেঁচে থাকার  যুক্তি.


দিনপেরলো আমার বিছানায় অপর্যাপ্ত প্রেম পর্যাপ্তে গড়ালে...বিয়ে আমার বাসি লাগে..যে প্রেমের নাগরিক কর্তব্যে সংসার আমার কিছুটা হৃদয়ের শব্দ মনে হয়েছিল...তা নিতান্তই শিখে আসা এক অসহায় সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতা... এই আলেখ্য আমার বেয়াব্রু চেতনার কিছুতেই ছিল না ...নির্ভরতার দোহাইএ যে প্রেম গাঁথা সে আমার কাছে ক্রমেই এক বিশাল ফাঁকি . লাগে.  বিয়ে আমার কাছে এক অসহায় সামাজিক ব্যবস্থার দোসর লাগে..প্রেমহীন লাগে...


সারাংসের সংজ্ঞায় যে পরকীয়া নিয়ে ফেস্টুন দাঁড়িয়ে বিজ্ঞাপিত জীবনের দর্পণ বোঝায়...সে পুরুষই হোক বা মেয়ে...সে ফুরিয়ে গেছে ...অনির্বাচনের ভয়ে...
বিয়ে না হলে বিশ্বাস কর জীবনের কিছুটা জীবনী কিছুতেই বেদখলি হতে দিতাম না.