একরাশ ভোরের আশাগুলো যখন পরিযায়ী সন্ধ্যের দিকে
নিরঙ্কুশ আধিপত্যে হাত বাড়ায়,
প্রিয়তম প্রেমের খোলা বেদনা আর আনন্দের ভ্যনিটি
চোখ খোলা উঞ্চতার পারদ টিপে টিপে বেঁচে থাকার
হাজার ইঁদুর দৌড়ের গালিচা পেরানো কালো পিচে
স্বপ্নের জাতকে রং লাগায় আবোলতাবোল


মন খুলে তুমিতো হাঁক, কেমন আছ ? এক বাটি আশা নিয়ে
আমার শরীরে কেমন লেগে থাকা ঘোরে স্বতন্ত্র ভাবে
নন্দিনীয় ব্যাকরণে উত্তর খুঁজি -- কি বলা যায়, ভাল আছি,
স্বাভাবিকে, তোমার অর্ধ জাগা রাতে আর আমার বিরতিয় প্রেমে
এটাই তো সবচেয়ে ভাল থাকার বাসর -- লখিন্দর ঘুমোবে,
কোনদিন ফণা তুলে আসবে না তক্ষক অবাঞ্ছিত কৌরবে


এর ব্যতিক্রমী হিমু আমি নই বা কোনদিন শ্রীকান্ত
দাঁর খুলে রাত দেখব কিভাবে নক্ষত্র গুলো ডুবে যায়
ডুবে যায় রাত-শেষে একটু একটু হাঁফানো প্রেমের মত
বিষে বা অবিষে সারারাত এই জগত, এই জন্মান্তরের
জগত পান করে গেল - আমারই চোখের রন্ধ্র থেকে


তাহলে বেঁচে থেকে ভালবেসে থেকে
এদিকে বাড়ানো বুকে ফ্লাইং ফুঁয়ে
ছুঁয়ে দেখ নিতে পার, আমার পারদ দেহে
মন গলে গেছে রোদে আর জ্যোৎস্নার ঘ্রাণে
দেখ এখন হামাগুড়ি দিয়েও সব কষ্ট ঢেকে
ঠিক হাসিমুখে দাঁড়াতে পারি,যেন এই মানব হয়েই
এত বিবর্তনে এটুকুই আমার বিবর্তিত প্রকাশ
তোমাকে প্রানখুলে তোমার ভাসাতেই বলতে পারি
আছি জেগে আছি তোমার চোখনিয়ে পাশে, ভালবেসে।


(ভালবাসা সিরিজের আজ শেষ কবিতা)