একটা চরিত্রহীন রাত্রি
আর অন্ধকারে ঢাকা কালো কবরের পাশে
শুয়ে শুয়ে জীবনানন্দের সুরঞ্জনা,
তোমাকে শোনাবো বলেই
আধো আধো স্বরে কিংবা
কিভাবে ডাকি তোমায়, নিরন্তর বিভিন্নতায়


ভালোবেসে সংসারে ডুবে যেতে
মন চায়নি বলেই, পথে থেকে
পথ গুলো আলাদা হতে হতে কোথাও
উবে গেছে, বয়স আর স্বাচ্ছন্দ্য
সহাস্যে শুনিয়েছিল, বারিস্তার এক্সপ্রেসো
কিংবা হেটে হেটে গাড় কুয়াশার প্রথম নিষিক্তে
লাল চায়ে, কিভাবে এমন করে কাটালে, অনিন্দ্য !


কিভাবে ভালবেসে চুমো না খেয়েও ভালবেসে গেলে
এই রাত দিন, পানের মত সবুজ যৌবন উপেক্ষায়
কিভাবে মুখ ফুটে বলতে চেয়েও বলা কথাগুলো শোনালে না?


রাত জাগা রজনীগন্ধার অপরিপক্ব ঘ্রাণে
চোখের উপর একরাশ আলস্য নিয়ে, কতখানি
জীবন দেখবে বলে, ভালবেসেও সঙ্গী হলে না ।


প্রেমিক চরিত্রহীন হয়, সে-তোমার উপন্যাসিক ধারনা
কেবল ঢেউয়ের মত আসে যায়, জড়ানো সত্য বলে
কিছু নেই এর চেয়ে সত্যি হয়ে ওঠা প্রেমে তোমায় বাঁধবে কে?


আমার পথগুলো আজ শহরের আলোতে ঢেকে গেছে
সর্বত্র কবরের পাথর, সর্বত্র সন্ধি-হীনতার নিদান
কিভাবে  ভালবেসে, শুধু ভালবেসেই যাই বল
কিভাবে বুকের থেকে মুখের থেকে মুছে ফেলি --- ভালবাসার চরিত্রহীনতা !