ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত আলাপ


ভেতরে ভেতরে কেমন গলে যাওয়া মানুষের শ্বাস প্রশ্বাস
শুনে নিতে পার, এদের কেউ মনে রাখেনি বলেই, এতকাল
দরিদ্র থেকে থেকে পক্ষপাতিত্বের সংজ্ঞাগুলো পাল্টে গেছে
এরা মৃত মানুষ, সংখ্যার শ্লোগানে, যতগুলো রাস্তার কুকুর ।


মিছিলে ডাকলেই এদের পাবে, বুকে চোখে এক বুক ভিক্ষার হাহাকার
জীবিত হতে শেখেনি বলেই, সবাই এদের বিতরণ করেন জ্ঞান
এবং এক অদ্ভুত ভয়েই এদের শরীরের রক্ত কেমন শীতল হতে হতে
সমস্ত ইতিহাস চুরি হয়ে যায়, সেকল মানুষের কাছে... মন্ত্রী উপমন্ত্রী চেয়ারপার্সন ...


বমি আসে এই সাধারণদের দেখলে পরেই, মনে হয়
কেমন নিরস্ত্র অস্তিত্বের খোদাই ভেতর থেকে টেনে আনছে একদল
জীবন্ত মাংস পিণ্ড, সমস্তটাই একটা না পেরে ওঠার দুর্বলতার বল্গাহীন গদ্য
এ মানুষ চাই না ... এ মানুষ ইতিহাসে ঠাঁই না পাওয়াই ইতিহাস নয় ...


সাধারণ তুমি কবে কাউকে কাউকে আর অসাধারণ করা ছেড়ে দেবে?


পরামর্শ


তুমি আমায় নিমন্ত্রণ না করলেও
দু চারটে পরামর্শ দিতেই পারি, জিততে তোমায় হবেই
তাই, ভেবে দেখ, তোমার একদণ্ড নতুন অনুভূতি এল কি এল না
আমার জ্ঞান তোমার লাগবেই শুনতে !


তুমি মাঠে ফসল ফলতেই পার, তুমি কারখানায়
মেশিনের সাথে কাটাতেই পার তোমার সমস্ত জীবনটা
তবু, আমার  সার্টিফিকেটের সংখ্যা তোমার অস্তিত্বের নিয়ামক
তাই অবাধেই তুমি বোকা, গর্ধব এগুলো ধরেই,
দুচারটে পরামর্শ দিতেই পারি!


শিক্ষার অহংকার না থাকলে, শিক্ষিত হবার ঝক্কি কেনই বা নিতে যাব?
দেখছ না... সবাই কেমন মেতেছে...এই শিক্ষিত হবার উৎসবে
এ উৎসব নিজেকে জানার চেয়েও জানানোর ঢের বেশি,
তাই পরামর্শ নিতেই পার , ব্রান্ডিং আবশ্যক!