পৃথিবীটা দেখতে কেমন বুঝতে যদি চাও,
সময় করে তোমরা এবার লাচেন লাচুং যাও,
গ্যাংটকের সেই দুটি জায়গা অতি চমৎকার,
চারিদিকে শুধু ঝরণা ধারা পাহাড় আর পাহাড়,
আমরা সেথায় গিয়েছি এবার মজা পেয়েছি ঢেড়,
ভয় ভীতি আর ঝুকি ছিল তবু কিচ্ছু পাইনি টের।
প্রথম দিনের খাবার ছিল অসাধারণ ভাই,
পরের চারদিন আমরা কিন্তু তেমনটা পাইনাই।


টুরগাইডটা সত্যি একটা অপদার্থ জিনিস,
পুলিশরে কয় আমি গাইড তুই আমারে চিনিস?
পুলিশ তারে পাগল ভেবে আর কথা না বাড়ায়,
ঘাড়ে ধাক্কা দিয়ে তারে কোনমতে তাড়ায়,
বাকি সময় ড্রাইভার গুলো গাইডের ভূমিকায়
সাঙ্গুলেক আর জিরোপয়েন্ট ঘুরাইতে নিয়ে যায়,
জিরো পয়েন্টের তাপমাত্রা জিরোর চেয়ে কম,
শীতের চোটে সবার মাথা জমেছে একদম।


অনেকেই এসে অসুস্থ ছিল আমিও তার মাঝে,
সবাই মিলে ভ্রমণ শেষে যোগ দিয়েছি কাজে।
ঈদের দিনে সিকিমের পথে রওনা দিয়েছি মোরা,
যেতে পারেনি ডিজিএম ওয়াশ পোর্ট নাই চ্যাংড়াবান্ধা,
ভেবেছি মোরা ওরা করছে কিছু টাকা খাওয়ার ধান্দা,
আসলে তা নয় বাস্তবেই সে আর পারেনি যেতে,
ফিরে এসে গিয়ে সে শপিং করেছে কোলকাতাতে।
সবমিলে যদি বলি টুরটা কেমন ছিল এককথায়,
বলবো আমি এটা ছিল রাখার মত সৃতির পাতায়।


থাকবো না আমি হয়ত বেশিদিন আপনাদের সাথে আর,
এই সৃতি গুলো আমার মনে নাড়া দেবে বার বার।


চলমান.................