ক্ষমতা তুমি কার,
এজিদের নাকি নমরুদের, নাকি ফেরাউনের ঐ বিশাল হস্তি বাহিনীর।
নিরীহ প্রণী যেখানে আজ সংকিত ভীত জীবনের, করে আর্তনাদ, রাজার মসনদ, রক্তে ভিজে লাল!
ক্ষমতা তুমি আসিয়াছ যবে, ভেবেছ তবে রহিবে কি চিরকাল?
এহেন ভাবনা কেন ভাবিয়াছ জানোনা কি ইতিহাস?
এজিদ, নমরুদ আর ফেরাউনদের সেই ভাগ্যের পরিহাস?


তবে কেন আজ রাস্তা ঘাটে, বাজারে বন্দরে করছ তোমরা ক্ষমতার অহমিকা, জেনে রেখো ওটা কিছু নয়, ওটা শুধুই মরিচিকা।
নিরীহ মানূষ মার খায় আজ দেখিবার নাই কেউ,
ক্ষমতা নয় চিরস্থায়ী যেন জোয়ার ভাটার ঢেউ।
নিমিশেই যেন বদলে হবে ক্ষমতার পালাবদল,
প্রতিদান পাবে ক্ষমতায় থেকে যা করেছিলে আমল।


সূর্য নামার সাথেই আঁধার সত্যের হয়না ভোর,
অফিস-আদালতে প্রতি দশজনে আটজনই হয় চোর।
সব চোরেরা মিলেই করে সাধু সাজার ফুন্ধি
তাই ত একে অপরের সাথে করিয়া বেড়ায় সদ্ধি।
ওরা ভাবে ওদের ঐ ক্ষমতা পেয়েছে চিরতরে
যাই করুক আর ঐ ক্ষমতা হারাবেনা একেবারে।


তাই ওরা আজ করছে দেখ ধরাকে সড়া জ্ঞান,
একটুও ভাবেনা ওরা হতেপারে অপমান।
আমি ভাবি সদা আজ এখানে কালকে হয়ত নয়,
সেদিন আমার কৃত কর্মে যেন লজ্ঝা পেতে না হয়।
শিক্ষিত মোরা গড়ব একটা শিক্ষিত পরিবেশ,
সবাই ভালবাসবে মোদের কেউ করবেনা দেষ।


কিন্ত হাসি দিয়া আজ দেখাতে চাও, কতইনা ভাল তোমরা,
আসলে ভিতরটা পুড়ে কয়লা তোমাদের, বাহিরে শুধু চামড়া।
ভিতরে যেন বিষের খনি, উপরে মধু মাখা,
মুন্ডু কেটে ঘাম ঝড়িয়ে চালাও শীতল পাখা।
এমন স্বভাব তোমরা সবাই কর পরিহার,
নইলে কভু পাড় পাবেনা, পাবেনা নিস্তার।