বিবেক নামের দুষ্টু পাখি করে ছুটা ছুটি,
মন বোঝেনা কেমনে তারে কোথায় ধরে রাখি।
বনের পাখি খাঁচায় ধরে রাখতে যদি চাও,
চোখটা চেপে খাঁচার মুখে একটা তালা দাও।
বিবেক নামের ঐ পাখিরে খাঁচায় করলে বন্ধি,
তবেই আমি তোমাদের সাথে করতে পারি সন্ধি।
বিবেকটা চায় দেশ ও দশের করতে একটু সেবা,
নি:স্ব বিবেক ফুঁফরে কাঁদে দেখবে তারে কেবা?
বিবেক মানেই সব ভাল তার বুদ্ধি ছাড়া নয়,
বুদ্ধি ছাড়া বিবেক যে তাঁর পায়না পরিচয়।
হঠাৎ মনে প্রশ্ন জাগে বুদ্ধি আবার কি?
এই কথা কি একবার কেউ ভেবে দেখেছি?
পিতা ছাড়া পুত্র যেমন পায়না পরিচয়,
বুদ্ধিটা তাই বিবেকটারে দিয়েছে আশ্রয়।


বিবেক যখন বুদ্ধি হতে বেড়ে ওঠে বেশি,
শরীর তখন যায়না ভাল গলায় ওঠে কাশি।
কাশতে কাশতে যখন তোমার শরীর হবে ক্ষীণ,
ভাববে তখন সত্যিই নিজে বুদ্ধির কাছে ঋণ।
তখন বুঝলেও বুদ্ধি তোমায় বাঁচাবেনা আর,
বাঁচতে হলে সত্যিই তোমার লাগবে যে ডাক্তার।
সময় থাকতে বিবেকটারে বুদ্ধি দিয়ে বাঁচাও,
তবেই তোমার লাগবেনা আর একটি সুচের খোঁচাও।
নইলে তোমায় খেতে হবে বি:স্বাদ কিছু ছিরাপ,
না খেলে তা দেখবে বিবেক, তোমার শরীর খারাপ।


                                      সূচনায় ব্যতিক্রম-১৮