আর কতো রাখবে মোরে অপেক্ষায়, হে পাষাণী মেয়ে!
আর কত রইবো তোমার আসার সুদীর্ঘ পথে চেয়ে?
আর কতক্ষণ পরে আসিবে তুমি
ভিজিয়ে আমার বিরান হৃদিভূমি
মম মরু হৃদয় মরূদ্যান হবে ওগো তোমার দরশন পেয়ে।


তব পথ চেয়ে নয়ন কি আমার জ্বলে পুড়ে হয়ে যাবে খাক!
কাঁদিয়া কাঁদিয়া মম স্বরযন্ত্র কি গো আজি হারাবে বাক!
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দু’পা গেছে ফুলে
থেকে থেকে মাথা উঠিতেছে দুলে
বেশি সময় হয়তো পারবো না চলতে অপেক্ষার এ তরী বেয়ে।  


ভোর হতে দুপুর গিয়েছে, গড়িয়ে বিকেল নেমেছে সাঁঝ
এখনো তো তব দেখি না ছায়া, আসিবে না কি তবে আজ?
পাখিরা সব যাচ্ছে নিজ গৃহে ফিরে
সূর্যও ডুবিছে প্রেমসিঁড়ি নদীতীরে
আকাশ বৃক্ষ গৃহ মাঠ সবি তো যাচ্ছে গহন আঁধারে ছেয়ে।


নিশাচর বাদুড় জুড়েছে খেলা যমকুলিও দেখি দিতেছে হাকঁ
আর অপেক্ষা করা উচিত হবে না; থাক না হয়, আজ থাক!
না, আরেকটু দেখি অপেক্ষা করে
হায়! যদি কাছাকাছি এসে পড়ে
যদি তার বুকে কষ্টের বান নামে আমারে দেখিতে  না পেয়ে!


আমি এক নির্বোধ উতল প্রেমিক, চেয়ে আছি মরীচিকা পানে
যার কোথাও কেউ নেই, নেইকো সে ছাড়া এ জীবনের মানে।
সে তো রয়েছে ভরা চাঁদের হাটে
প্রিয়সনে হরষমনে জীবন কাটে
আমারে মনে রেখে কেন সে এতদূরে আসিতে যাবে ধেয়ে!