বিশ্বজাহানের মালিক যিনি, তাঁর কী প্রয়োজন আপন ঘর?
সকল গৃহহীনে দানেন যিনি গৃহ, দরাজ হস্তে জীবন-ভর।
তবু তিনি কহিলেন ইব্রাহিমে, রচিতে দুনিয়ায় মহা আলয়
আশ্রিবে তা সকল মুসলিমে, রুখবে তাবৎ মহাপ্রলয়।


ইনসানে কিবা হিম্মত রাখে গড়বে স্বহস্তে খোদার বায়েত!
ইসমাইল-প্রাণ ত্রস্তে কাঁপিল, কোথা পাবো দেদার জমায়েত?
সস্নেহে পিতা শুধালেন পুত্রে, খোদায় কি নাহি তব আস্থা?
খোদার আজ্ঞায় আগুয়ান মোরা, তিনিই নিবেন সব ব্যবস্থা।


স্রষ্টাতুষ্টে নামিলেন দোহে, আহা এই সুমহান বিশ্বকাজে,
একে একে গাঁথেন আকীদার ভিত, অপার ভক্তি চিত্তমাঝে।
নাগাল পেরিয়ে উঠে গেল যবে, খোদালয়ের অমর্ত্য দেয়াল
ত্রস্তে পুত্র দিশেহারা মলিন, আশু করণীয় করে খেয়াল।


ইব্রাহিম ঊর্ধ্বে তুলিলেন দু’হাত, দিশা দাও হে মহামহিম
আরশ হতে নামিল দিব্য প্রস্তর, প্রসিদ্ধ মাকামে ইব্রাহিম।
শ্রমে-ঘামে প্রেমে-পুণ্যে দু’য়ে কাবাঘর করিলেন বিনির্মাণ,  
মিল্লাতে দিলেন পাঞ্জেরীর দিশা, আপনা রহিলেন কীর্তিমান।


তুলির আঁচড়ে শেষ টান দিলেন, বিশ্বালয়ের ওগো আখেরি নবী
শিরক্-বিদা’ত বিদূরিত করে, ধরণীতে আনিলেন সোনালী রবি।
ক্ষণতরে এ নিলয় কভু হয়নি কো নিরব, হতে সেই সে মহাক্ষণ  
লাখো মুসলিমের রোদন আর ঘূর্ণনে, সতত সরব সেই মহাধন।


ক্ষমা করো মোদের, হে ক্ষমাশীল। আমরা তব বান্দা নালায়েক,
নিয়ে তব জিকির আমরা হাজির; লাব্বায়েক আল্লাহুমা লাব্বায়েক।
আপন হস্তে রচেছি তব ধাম বিশাল এ ধরাধামে, হয়েছি জিম্মাদার
নিজ হস্তে জান্নাতে রচিয়ো মোদের ঘর, হে পরোয়ার দিগার।


(সিডনি, অস্ট্রেলিয়া
১২/০৮/২০১৯ খ্রি.)