আহা! চোখ ভিজে আসে জলে
ইফতারি তো নামে না হায় গলে!
সেহরি যেন গরল জীবননাশা,
নিদ্রা বিশ্রাম লাগে না আর খাসা।
কেমনে লাগবে ও ভাই?
মানুষ আমি, নহে তো নীলগাই!
পশু যারা আছে এ ধরায়
(তাদের) কিছুতে কি কিছু আসে যায়?
হিংস্র হায়েনা আর জংলী শেয়ালে
আঘাত হানে অসহায়ে মনের খেয়ালে।
নাগ বিচ্ছু আর নেড়ি কুত্তার দল
নিরস্ত্রদের দেখায় গায়ের বল।
আজাত কুজাত ভূমিহীন সব চেলা
খেলে যাচ্ছে সর্বনাশা খেলা।
মানুষ বলে কেমনে করে দাবি?
হাতে যাদের চিড়িয়াখানার চাবি!
এরা বলে এটা নাকি যুদ্ধু,
যুদ্ধের নিয়ম জানিস তোরা বুদ্ধু?
রাতদুপুরে নারী শিশু খতম
নয় কিরে তা কাপুরুষের মতন?
নয় কিরে তা স্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ?
এটাই তোরা করে যাচ্ছিস অবাধ!
মানবতার বুলি উড়াস মুখে
কেমনে ঘুমাস দানবের দল সুখে?
দম্ভে-মোহে খেলছিস রক্তের হোলি
একদিন আসবে, হবি শখের বলি।
ইতিহাসের হাজার পাতায় লেখা
শেষ বেলাতে হবে তা তোর শেখা!
খোদা ছাড় দিলেও দেন না কভু ছেড়ে
একদিন তিনি ধরবেন ভীষণ তেড়ে।
সেদিনের সে অপেক্ষাতেই বাঁচি
যবে তোদের নিয়ে মজলুমদলে খেলবে কানামাছি।
ইয়া খোদা! হত সকল মজলুম মুসলিমে
শহিদী মান দানিও হাশরভূমে।
যেসব মুসলিম আজও আছেন বেঁচে
তাদের দুঃখসাগর দিও প্রভু সেচে।
ধরায় আছে যত জালিমের জাত
হেদায়েতের বাড়াও তব হাত।
যদি মাওলা না চাও তাদের বংশ
সদলবলে করো তাদের ধ্বংস।